প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের টেস্ট দলে জায়গা করে নিয়েছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লাল বলের লড়াইয়ে মাঠে নামা হয়নি শরিফুল ইসলামের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে একাদশের বাইরে থেকেও টেস্টের স্বাদটা নিয়েছেন এই পেসার। বার্তাবাহকের কাজ করেও রোমাঞ্চিত তিনি। কেননা এই প্রথম খুব কাছ থেকে টেস্ট খেলা দেখেছেন।
ক্যারিয়ারের শুরুতে ক্রিকেট কোচ ও গুরুদের কাছে থেকে গল্প শুনে বড় হয়েছেন শরিফুল। সেই গল্পের টেস্ট খেলাই উপভোগ করেছেন দলের সঙ্গে থেকে। ক্রিকেটারদের কাছে দলের বার্তা পৌঁছে দিতে প্রায়ই গিয়েছেন মাঠে। তাতেই যেন শরিফুলের মনে হয়েছে, টেস্ট তিনিও খেলেছেন। একাদশের বাইরে ছিলেন না। একই সঙ্গে শিহরিত বাঁ-হাতি এ ফাস্ট বোলার স্বপ্ন বুনেছেন টেস্ট খেলার। দীর্ঘতম সংস্করণে নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার।
মঙ্গলবার বিসিবি’র পাঠানো ভিডিও বার্তায় শরিফুল প্রথম টেস্টের স্মৃতিচারণ করে বলেন- টেস্ট সত্যি মজার খেলা, ‘কখনও এত কাছ থেকে টেস্ট খেলা দেখিনি। টেস্ট আসলে মজার খেলা। প্রতি সেশনে মুভমেন্ট বদল হয়। বার্তা পাঠানো হয়। আমি খুবই রোমাঞ্চিত ছিলাম। মনেই হয়নি ম্যাচের বাইরে আছি। মনে হচ্ছিল যেন খেলছি। সবসময় যাওয়া-আসার ভেতর ছিলাম।’
টেস্ট খেলা শুধু মজার খেলাই নয়। একই সঙ্গে কঠিনও বটে। শরিফুল মানছেন তেমনটাই, ‘আসলে টেস্ট খেলাটা একটু কঠিন। যে আবহাওয়ায় খেলা হয়েছে। অনেক রোদ ছিল। পেস বোলারদের একটু পরপর পানি খাওয়ানো, তাদের সাথে কথা বলা, তাদের কাছ থেকে কিছু জানা- সবমিলিয়ে মনে হচ্ছিল যেন মজার আছে। তেমন তাদের কষ্টও আছে। এটা আসলে খেলারই অংশ। এটা আমাদের হাতে নেই। এই বাধা জয় করেই আমাদের ভালো কিছু করতে হবে।’
প্রচণ্ড গরমের মাঝেও বোলিং করতে হয়েছে তাসকিন আহমদে, ইবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহীদের। এম কন্ডিশনে সিনিয়রদের পারফরম্যান্স দেখে অবাক হয়েছেন শরিফুল। সুযোগ পেলে নিজেও তাদের মতোই করে দেখাতে চান, ‘তাসকিন ভাই লম্বা স্পেল করেছেন। অনেক ওভার করেছেন। তাসকিন ভাই, ইবাদত ভাই অনেক জোরে বল করেছেন। সেটা দেখে ভালো লেগেছে যে, এত গরমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একই গতিতে এত জোরে বল করা যায়। টেস্ট খেলা এমনই যে নিজের শতভাগ দিতে হয়। তারা চেষ্টা করেছেন শতভাগ দেওয়ার। কখনও যদি সুযোগ পাই, আমিও চেষ্টা করব।’
ক্রিকেট গুরু সাবেক পেসার আলমগীর কবিরের কাছ থেকে টেস্ট ক্রিকেটের গল্প শুনে বড় হয়েছেন। স্বপ্ন দেখেছেন টেস্ট খেলার। এখন সেই স্বপ্নের খুব কাছে। তাই সুযোগ পেলেই নিজেকে মেলে ধরার আশ্বাস দিলেন শরিফুল, ‘আমার কোচ, যার কাছে আমি শিখেছি, অনুশীলন করেছি, উনি টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন। উনি বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট হলো সর্বোচ্চ মানের খেলা। ওইখানে খেলতে পারলে ভালো হবে। শুরু থেকেই চিন্তা ছিল যে তিনটি ফরম্যাটই খেলব। যদি আমি টেস্ট খেলি কখনও, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’