ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু আভাস দিয়েও পারলেন না। ক্যারিয়ার সেরা ১৬৩ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে বিদায় নিলেন শান্ত। তার ৩৭৮ বলের দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ১৭ বাউন্ডারি আর এক ছক্কার মার। লাহিরু কুমারার বলে তারই হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে মুমিনুল হককে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে রেকর্ড ২৪২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন শান্ত।
তৃতীয় জুটিতে ২৩৬ রানের আগের রেকর্ড গড়ে ছিলেন মুমিনুল ও মুশফিকুর রহিম। ২০১৮ সালে এই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই চট্টগ্রামের মাটিতে গড়েছিলেন তারা এই জুটি। এবার শান্তকে সঙ্গী করে ভাঙলেন নিজের সেই রেকর্ড।
শান্ত ও মুমিনুল মিলে খেলেছেন ৫১৭ বল। আর দুই বল খেলতে পারলেই ভেঙে যেত আরও একটি রেকর্ড। মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম ৫১৮ বলে ২৬৭ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ছিলেন ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে।
বাংলাদেশের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ইমরুল কায়েসের পর ১৫০ বা তার অধিক রানের মাইলফলকে পৌঁছালেন শান্ত। তবে টাইগারদের হয়ে তার ইনিংসটি ১৪তম ১৫০ পেরোনো ইনিংস।
দ্বিতীয় দিনে শান্ত-মুমিনুল দলীয় স্কোরে যোগ করলেন ৯২ রান। প্রথম দিন তারা যোগ করেন ১৫০ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ এখন তিন উইকেটে ৩৯৪ রান। ওভার শেষ হয়েছে ১২৫। ১১৫ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন মুমিনুল। তাকে সঙ্গ দিতে নেমেছেন মুশফিকুর রহিম।
২০০৯ সালের পর বিদেশের মাটিতে এই প্রথম দ্বিতীয় উইকেটে এলো শতরানের জুটি। তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত সেই পুরনো সুখস্মৃতিটা ফিরিয়ে আনলেন ১২ বছর মানে এক যুগ পর। প্রথম দিন তামিম ৯০ রানে সাজঘরে ফিরলে শান্তর সঙ্গে গড়া তার জুটি ভাঙে ১৪৪ রানে।
শতক মিস করলেও টেস্টে সর্বাধিক রান সংগ্রহে তামিম পিছনে ফেলেছেন মুশফিকুর রহিমকে। দেশসেরা এ ওপেনারের সংগ্রহ এখন ৪ হাজার ৫৯৮ রান। ৬১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিং করে যাচ্ছেন তামিমকে ছোঁয়ার জন্য।
তার আগে দুই উইকেটে ৩০২ রান দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শান্ত ব্যাটিংয়ে ছিলেন ১২৬* রানে। আর মুমিনুল প্রথম দিন শেষে অপরাজিত থেকে যান ৬৪* রানে।