বল হাতে স্পিন জাদু দেখান অলরাউন্ডার মঈন আলি। তার সঙ্গে যোগ দেন রবীন্দ্র জাদেজা। আট রানের ব্যবধানে তারা ফেলে দেন পাঁচ উইকেট। তাদের এমন অসাধারণ নৈপুণ্যে মুস্তাফিজুর রহমানের রাজস্থান রয়্যালসকে ৪৫ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
আইপিএলে তিন ম্যাচে এটি তাদের দ্বিতীয় হার। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংসের কাছে ধরাশায়ী হয়ে পরের ম্যাচেই দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয়ের দেখা পেয়েছিল রাজস্থান। এবার আবার হারের তেতো স্বাদ হজম করল শিল্পা শেঠির দল।
ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের কাছে হারের ম্যাচে বল হাতে নিয়ে মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটোই দেখলেন মুস্তাফিজুর রহমান।মুস্তাফিজ প্রথম তিন ওভারে দেন ২২ রান। আর শেষ ওভারে দেন ১৫ রান
বোলিং শুরু করেন দুর্দান্ত দাপট নিয়ে। নিজের প্রথম ওভারে দেন মাত্র তিন রান। সঙ্গে পেয়ে যান একটি উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারেই ছন্দ পতন। অচেনা হয়ে যান মুস্তাফিজ। খরুচে বোলিংয়ে দেন ১৩ রান।
তৃতীয় ওভারে ফের নিজেকে খুঁজে পান। চেনা রূপে ফিরে তোপ দাগাতে থাকেন। দেন মাত্র ৬ রান। নিজের শেষ ওভারে শতচেষ্টা করেও মিতব্যয়ী থাকতে পারেননি কাটার মাস্টার। শেষ বলের ছক্কায় দেন ১৫ রান। বাঁ-হাতি মুস্তাফিজের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে এক উইকেট।
চেতন সাকারিয়া তিনটি ও ক্রিস মরিস দুটি উইকেট নেন। কিন্তু তারপরও মুম্বাইতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট হাতে নেমে ৯ উইকেটে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। ফাফ ডু প্লেসিস ৩৩, আম্বাতি রাইডু ২৭, মঈন আলি ২৬ ও ডোয়াইন ব্রাভো ২০* রান যোগ করেন দলীয় স্কোরে।
৩ ওভারে ঘূর্ণি জাদুতে ৩ উইকেট নিয়ে রাজস্থানের ব্যাটিং লাইন-আপ এলোমলো করে দেন ম্যাচ সেরা মঈন আলি। কিন্তু খরচ করেন মাত্র ৭ রান। তার সঙ্গে দুটি উইকেট ফেলে দেন রবীন্দ্র জাদেজাও। আট রানের ব্যবধানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে রাজস্থান। ২ উইকেটে ৮৭ রান থেকে মুস্তাফিজদের স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৯৫ রান।
যে কারণে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় রাজস্থানের ইনিংস। জস বাটলার এক রানের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি মিস করেন। তার সঙ্গে জয়দেব উনাদকাত ২৪ ও রাহুল তেওয়াটিয়া তোলেন ২০ রান।