সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে উড়ন্ত শুরু কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কিন্তু পরের ম্যাচেই ছন্দ পতন। জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হেরে বসে দল। এ নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক শাহরুখ খান ভক্তদের কাছে ক্ষমাও চান। আর আন্দ্রে রাসেল দিয়েছিলেন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়।
কিন্তু কি থেকে কি হলো? জয়ের ধারায় তো ফেরা হলো না। আগের ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে তো লড়াই জমিয়ে তুলেছিল। শেষে খেই হারিয়ে ফেলে তীরে এসে তরী ডুবিয়ে দেয় কেকেআর। কিন্তু এ ম্যাচে তো জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনাটাই তৈরি করতে পারল না ইয়ন মরগানের সতীর্থরা।
সমর্থকদের হৃদয় ভেঙে ফের হেরে বসল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর কাছে কেকেআর ধরাশায়ী হলো ৩৮ রানে। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ হজম করল সাকিব আল হাসানের দল।
কলকাতার জন্য ম্যাচটা কঠিন হয়ে গেছে শুরুতেই। বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ে। এই সুযোগে টস জিতে কলকাতাকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়ে ব্যাটিং তাণ্ডব চালাতে থাকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্স।
কলকাতার বোলাররা রান দিয়েছেন সবাই। দুই ওভার বল করে সাকিব খরচ করেন ২৪ রান। তবে ছিলেন উইকেট শূন্য। খরুচে বোলিংয়ের জন্য পরে আর বলই হাতে নেওয়ার সুযোগ পাননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট নিয়েছেন বরুণ চক্রবর্তী। তবে এজন্য চার ওভারে তাকে দিতে হয়েছে ৩৯ রান।
ম্যাক্সওয়েল ৪৯ বলে ৯ বাউন্ডারি আর ৩ ওভার বাউন্ডারিতে ৭৮ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে বিদায় নেন। কিন্তু চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং বিস্ফোরণটা ঠিক থামানো যায়নি। ৩৪ বলে ৯ চার আর ৩ ছক্কায় ৭৬* রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে প্রোটিয়া মেগাস্টার থেকে যান অপরাজিত। দুজনের ব্যাটিং দাপটে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানের বিশাল পুঁজি গড়ে ব্যাঙ্গালুরু।
জবাবে লক্ষ্য ছোঁয়া তো দূরে থাক। ধারের কাছেও যেতে পারেনি সাকিবের কলকাতা। ধারহীন বোলিংয়ের পর ব্যাট হাতেও তারা হয়ে পড়ে অনুজ্জ্বল। ফলে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে গুটিয়ে গিয়ে হারের বৃত্তেই আটকে যায় কেকেআর।
মরগান ২৯, রাহুল ত্রিপাঠি ২৫ এবং ওপেনার শাবমান গিল যোগান দেন ২১ রানের। পরে রাসেলকে সঙ্গী করে মিডল অর্ডারে ব্যাট হাতে বুক চিতিয়ে লড়াই করার সাহস দেখিয়ে ছিলেন সাকিব। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। বিশ্ব সেরা এ অলরাউন্ডার ২৬ রানের মাথায় কাইল জেমিসনের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন আন্দ্রে রাসেল। সাকিব-রাসেলের বিদায়ে হারও নিশ্চিত হয়ে যায় কলকাতার। বাকি থাকে শুধু ম্যাচ শেষের আনুষ্ঠানিকতা।