সিরিজের শেষ ম্যাচ। পাকিস্তানের জন্য ছিল অঘোষিত ‘ফাইনাল’। ছিল সিরিজ জয়ের লড়াই। আর স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ছিল সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। ফখর-ফাহিমের ব্যাট-বলের জাদুতে মাঠের সেই লড়াইয়ে জিতে শেষ হাসি হাসল পাকিস্তানই। চতুর্থ টি-টোয়েন্টির মাঠের লড়াইয়ে ৩ উইকেটে জিতে সিরিজ ট্রফি নিজেদের করে নিল সফরকারীরা। জয় ছিনিয়ে নেওয়ার কাজটা অতিথিরা সারল এক বল হাতে রেখেই।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে জমে উঠা ম্যাচের এ জয় দিয়ে চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-১ ব্যবধানে জিতল সিরিজ সেরা বাবর আজমের পাকিস্তান।
বল হাতে তোপ দাগিয়ে ম্যাচ সেরা ফাহিম আশরাফ লড়াইটা আগেই সহজ করে রাখেন পাকিস্তানের জন্য। ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট পুড়েন নিজের থলেতে। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে হাসান আলি তিনটি আর হারিস রউফ নেন ২টি উইকেট। ব্যস, ত্রয়ীর বোলিং দাপটে ১৯.৩ ওভারেই ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে অর্ধ-শতকের দেখা পান রসি ফন ডার ডুসেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। জানেমান মালান ৩৩ আর এইডেন মার্করাম ১১ রান তুলেন। আসা-যাওয়ার পালায় যোগ দিয়ে বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিং কর্ম করতে নয় বরং যেন মাঠ পরিদর্শনেই নামলেন তারা।
দল জেতানোর ফাহিমের বাকি রাখা দায়িত্বটা নিজের কাঁধেই নেন ফখর জামান। হাফ-সেঞ্চুরির দুরন্ত এক ইনিংসে গড়েন জয়ের ভিত। তার ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংসেও বকেয়া থেকে যায় কাজ।
লিজাড উইলিয়ামস ও সিসান্দা মাগালা দুটি উইকেট নিয়ে মাঝে পাকিস্তানের সহজ ম্যাচটা কঠিন করে দেন। তবে তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। মিডল-অর্ডারের ধস কাটিয়ে উঠে ক্যাপ্টেন বাবরের দল। মোহাম্মদ নওয়াজ ২৫* রানে হার না মেনে টিকে থাকেন ক্রিজে। লক্ষ্য টপকে ৭ উইকেটের বিনিময়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ১৪৯ রানের স্কোর এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন।