দুই মামলায় জামিন হলেই মুক্তি মিলবে খালেদার

বিএনপি, রাজনীতি

মবিনুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা | 2023-08-30 20:48:44

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্ণ হলো শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি)। ২০১৮ সালের এই দিনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় পাঁচবছরের দণ্ডপ্রাপ্ত হন খালেদা জিয়া। ৩৬ মামলার ৩৪টিতে জামিনে আছেন তিনি। বাকি দুই মামলায় জামিন হলে মুক্তি মিলবে তার।

মামলা দু’টির একটি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অপরটি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। দুটি মামলায়ই তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ সাজা প্রদান করেছিলেন।

ওইদিন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর আসামিদের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন তিনি। খালেদা জিয়া বাদে অপর ৫ আসামিদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা জরিমানাও করা হয়।

এছাড়া একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া অরফানের ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন একই আদালত।

এ মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও রায় দেন তিনি।

খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ৩৬ মামলার ৩৪টিতেই জামিনে আছেন খালেদা জিয়া। যে দু’টি মামলায় তিনি কারাভোগ করছেন তার একটি হচ্ছে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অপরটি হচ্ছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট। দু’টি মামলাই তার জামিনের জন্য আমরা আইনি লড়াই করে যাচ্ছি। এ দুটি মামলায় জামিন হলেই তিনি কারামুক্ত হবেন। মামলা দুটির একটি হাইকোর্ট ও অপরটি আপিল বিভাগে শুনানির অপেক্ষায় আছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়স্ক ও অসুস্থ একজন মহিলা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশ ও জাতির প্রতি তার যথেষ্ট অবদান রয়েছে। আদালত দেশের প্রতি খালেদা জিয়ার অবদান, তার বয়স, অসুস্থতা, মহিলা কিংবা কারাবাসের মেয়াদ এর যেকোন একটি বিবেচনায় তাকে জামিন দিতে পারেন।

খালেদা জিয়ার আরেক আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত। শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণেই তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। তাকে তার পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল বা বিএসএমএমইউ) নেওয়া হয়েছে। সেখানে তার সুচিকিসা না হওয়ায় তিনি সেরে উঠতে পারছেন না।

২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার খালেদা জিয়াকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার আবেদন করেছিলেন। ওইদনি শুনানি শেষে বিচারক খালেদা জিয়াকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার নির্দেশ দেন।

এরপর ওই বছরের ১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জের কারাগার থেকে খালেদা জিয়াকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর