সরকারের হস্তক্ষেপে আদালত ছাত্রদলের কাউন্সিল স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘একটা রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে আদালতের হস্তক্ষেপ নজিরবিহীন। ছাত্রদলের কাউন্সিলের যে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, তাতে বোঝা যায় এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে।’
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটি ও ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, ‘এটা তারা (ছাত্রদল) আলোচনা করছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। এটা তাদের ব্যাপার। আমরা বিএনপি এর সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। এটা তাদের সিদ্ধান্ত। তারা আদালতে মুখামুখি হবে। আমাদের (কাউন্সিল স্থগিতের মামলায়) পক্ষ করা হয়েছে আমরা যথাসময়ে এর উত্তর দেব। সে হিসেবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
কাউন্সিলের কি হবে এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘এটা ছাত্রদলই বলবে। আমি বিএনপির মহাসচিব হিসবে বলছি না। তারা বলবে, সেটা আজকেও বলতে পারে, যারা ছাত্রদলের দায়িত্বে আছেন।’
ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি ও ছাত্রদলের কাউন্সিলের মধ্যে কোনো যোগসাজশ আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আছে। কারণ ছাত্রদলে একটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের পরবর্তী নেতৃত্ব নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। এটাকে বন্ধ করার জন্য স্টে (স্থগিত) করা হয়েছে। কাউন্সিল স্টে করার মানে কি? একটা পলিটিক্যাল পার্টির কার্যক্রমকে বন্ধ করে দিচ্ছেন। এটা নজিরবিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার আসলে তারা কি চান? তারা বাংলাদেশে নূন্যতম গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকুক সেটা তারা চান না। তারা এর জন্য আদালতকে ব্যবহার করছে। যেটা গণতন্ত্রিক একটা রাষ্ট্রের জন্য, রাষ্ট্রের ভবিষ্যতের জন্য শুভ হতে পারে না। দুঃখজনকভাবে আমরা লক্ষ্য করলাম গত ১০ বছর ধরে তারা এই কাজটিই করলেন।’
এরআগে বৈঠকে লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপে যুক্ত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।