বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, 'প্রতিযোগিতাহীন এমন নির্বাচনে আমরা (বিএনপি) কেন অংশ নেব?'
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, 'ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচনের ভোট আগের রাতে হয়ে গেছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হচ্ছে, দিন শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।'
তিনি বলেন, 'একটি কথা আছে, সেটি হলো ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করে গাত্র হলো ব্যথা। আমরা কার সঙ্গে যুদ্ধ করব? নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নেই। প্রতিযোগিতাহীন এমন নির্বাচনে আমরা কেন অংশ নেব? গণতন্ত্রের উত্তাপ, প্রতিযোগিতা হত্যা করেছে সরকার। প্লাস্টিক সার্জারি করে নিজেদের চেহারা ঢাকতে চেষ্টা করছে। কিন্তু 'স্বৈরশাহীর নির্মম-নিষ্ঠুর' চেহারা বেরিয়ে আসছে।'
রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া কমিশনের জন্য অস্বস্তিকর, সিইসি'র এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'তার (সিইসি) এই বক্তব্যে স্বীকার করে নিলেন যে, জনগণ ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। যে দেশে ভোটের আগের রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়, ভোট চুরি হয়। সেই নির্বাচন কমিশন ধিক্কার ছাড়া অভিনন্দন পাওয়ার যোগ্য নয়।'
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'জনগণকে ভোট প্রদান থেকে প্রতারিত করা হয়েছে। সিইসির আজ্ঞাবহ জীবনদর্শনের জন্য গণতন্ত্র এখন রাহুগ্রস্ত। ৩০ ডিসেম্বরে ভোট চুরির মহোৎসব করে একটা অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দেশকে গভীর সংকটে নিপতিত করার মূল হোতাই হচ্ছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা। কাজেই জনগণ এবং রাজনৈতিক দলগুলো এখন নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, 'সরকার বেআইনিভাবে 'নির্দোষ' খালেদা জিয়াকে আটকে রেখেছে। ২৯ ডিসেম্বরের মিডনাইট' নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হবে বলেই খালেদা জিয়াকে বেশ কয়েক মাস আগেই কারান্তরীণ করা হয়েছে। গণতন্ত্রের সূর্যকে অস্তগামী করার জন্যই খালেদা জিয়া এখন কারাগারে। বর্বরোচিত একদলীয় কর্তৃত্ব নিরঙ্কুশ করার জন্যই খালেদা জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে।'