একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবির পর দলের অঙ্গসংগঠনের নেতাদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে বিএনপি'র জ্যেষ্ঠ নেতারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ের আন্দোলন ও জাতীয় নির্বাচনে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রধান নেতাদের কর্মকাণ্ড বিবেচনায় নিচ্ছেন জ্যেষ্ঠ নেতারা।
দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, দলীয় কর্মকাণ্ডের দিক থেকে যুবদল বেশ পিছিয়ে ছিল বা এখনো আছে। চোখে পড়ার মতো তাদের তেমন কোনো কর্মকাণ্ড ছিল না বলে দলের সিনিয়র নেতারা মনে করেন।
এক্ষেত্রে বিএনপি’র এই অঙ্গ সংগঠনটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরবকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে সেটা প্রায় নিশ্চিত। অপেক্ষা শুধু লন্ডনে অবস্থনরত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের।
তবে মাঠে না নামার ক্ষেত্রে বিএনপির নেতারা মনে করেন, গ্রেফতার ও মামলা করে সরকার তাদের দলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেয়নি। এজন্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের বার বার আহ্বানের পরও নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নামেনি।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ঢাকা-১২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ছিলেন নিরব। অন্যান্য এলাকার মতো এ আসনেও ছিল না তৃনমূল নেতাকর্মীদের কোনো ধরণের কর্মকাণ্ড।
এ বিষয়ে বিএনপি‘র ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বার্তা২৪কে বলেন, ‘কোনো জায়গায়ই নেতৃবৃন্দ মাঠে নামতে পারে নাই। আর নিরব যেহেতু একটি যুব সংগঠনের প্রধান, স্বাভাবিক কারণে অনেকই যে প্রত্যাশা করেছিলেন সেটা পূরণ করবে।
আমার কাছে মনে হয়েছে, শুধু নিরব না, সারা বাংলাদেশের কেউ কোথাও বের হতে পারেনি, বের হতে দেওয়া হয় নাই। অনেক পত্রিকাই বলেছে যে নিরব একেবারেই নীরব। এটা আমার কাছে প্রত্যাশিত না। দেশে একটা ফ্যাসিবাদী সরকার থাকলে, হামলা, মামলায় এটা সম্ভব হয়নি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বার্তা২৪কে বলেন, 'সবার পারফর্মেন্সই তো খারাপ।' নিরবকে সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে এখন কেউ ভাবছে না। এ বিষয় নিয়ে ভাববার এখনো সময় আসেনি।'
যুবদলের সভাপতি নিরবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।