রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (৯ মে) দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তাকে এখনও সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তার চিকিৎসা করছেন।
এ সময় খালেদা জিয়া করোনামুক্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, শনিবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়েছে। আমরাসহ দেশবাসী তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা দোয়া করি তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
গত ১০ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চিকিৎসা শুরু হয়। ১৪ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট হলেও ফলাফল পজিটিভ আসে। এরপর ২৭ এপ্রিল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গত ৩ মে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে আবেদন করেছে। সরকারি অনুমতি পেলে তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানো হবে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।