বাংলাদেশের তরুণ শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধীর যাপিত জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে সুনিপুণভাবে। যা স্থান পেয়েছে ১০ দিনব্যাপী শুরু হওয়া ‘গান্ধী@১৫০ আর্ট' নামের প্রদর্শনীতে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালার ৪ নম্বর গ্যালারিতে ভারতীয় হাইকমিশন এবং শিল্পকলা একাডেমির সহায়তায় মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়। ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর ছিল এ মহাপুরুষের জন্মদিন।
মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার শ্রী বিশ্বদীপ দে বলেন, ‘মহাত্মা গান্ধী হলেন ভারতের জাতির পিতা। যার কোনো তুলনা হয় না।’
শিল্পকর্মের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ শিল্পকর্মগুলো গান্ধীজির সাধারণ এবং সত্যের প্রতি নিবেদিত জীবনের কথা সকলকে স্মরণ করিয়ে দেবে। যারা এই শিল্পকর্মগুলো তৈরি করেছেন তারা গান্ধীজির আদর্শকে তাদের জীবনে বহন করে সামনে এগিয়ে যাবেন।’
লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘গান্ধীজি ১৯ শতক থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে অন্যতম অবদান রেখেছেন। তিনি শুধু ভারতেই নয় গোটা এশিয়া মহাদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, মুক্তির জন্য আন্দোলন করেছেন। যা মানব জাতির মধ্যে অদ্বিতীয়।’
চিত্র কর্মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গান্ধীর জীবনের বাইরের বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে তরুণ শিল্পীদের ক্যানভাসে কিন্তু আমরা সবাই যদি তার ভেতরের জীবন দর্শনে উজ্জীবিত হতে পারি, তবেই ভারত এবং বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে।’
গান্ধীকে নিয়ে গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি তার জীবনের প্রত্যেকটি দিন নিয়ে গবেষণা করেছি। তাতে জেনেছি তিনি এক অবিস্মরণীয় মানুষ। তিনি সব সময় বলেছেন আমার জীবনই আমার বার্তা।’
প্রদর্শনীতে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বদানকালে তার জীবনের বিভিন্ন দিক ফুটে উঠেছে। এতে ৩০টি চিত্রকর্ম, ১৮টি আলোকচিত্র ও ২টি ভাস্কর্যসহ মোট ৫০টি শিল্পকর্ম স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। এ প্রদর্শনী চলবে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
শ্রী বিশ্বদীপ দে'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- শিল্পকলা একাডেমির চারুকলা বিভাগের পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু, নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ।