'অবৈধ ডিটিএইচ'র বিরুদ্ধে অভিযান শুরু ১ জানুয়ারি'

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-20 06:14:53

অবৈধ ডিটিএইচ এর বিরুদ্ধে আগামী বছরের শুরু (১ জানুয়ারি) থেকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর থেকে অভিযান পরিচালনা করার কথা থাকলেও এর সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২৬ দেশের ৩৬ জন সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা জানান। এসময় মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম ১৫ ডিসেম্বররে মধ্যে বাংলাদেশে যেসমস্ত অবৈধ ডিটিএইচ আছে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। কারণ অবৈধ ডিটিএইচগুলো কোনোভাবেই অনুমোদিত নয়। অবৈধ ডিটিএইচ এর এর মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ৭০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এজন্য এই অবৈধ ডিটিএইচ এর বিরুদ্ধে আমরা ১৬ ডিসেম্বর থেকে অভিযান শুরু করবো বলেছিলাম। কিন্তু যেহেতু আগামীকাল ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং আমাদের অন্যান্য কাজের সুবিধার্থে আমরা এটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বৃদ্ধি করছি। আমরা আগামী ১ জানুয়ারি থেকে অভিযানে নামবো।'

তিনি বলেন, প্রথমত ডিটিএইচ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এবং একই সাথে ডিটিএইচ সংযোগ যারা লাগিয়েছেন এবং যারা ব্যবহার করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা পহেলা জানুয়ারি থেকে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা শুরু করবো।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকদের বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানায়। এরই প্রেক্ষিতে এ বছরও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাংবাদিক ও কলামিস্টদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং সফরের আয়োজন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে ২০ দেশের ৩৬ জন জার্নালিস্ট আজকে এখানে এসেছে। আলজেরিয়া, জার্মানি, ব্রাজিল,চেক রিপাবলিক, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, নেপাল, চায়না, ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপিনস, পর্তুগাল, পোল্যান্ড, মালদ্বীপ, কোরিয়া, সাউথ আফ্রিকা, তুর্কি, ইউকে, ইউএই এসমস্ত দেশ থেকে সাংবাদিকরা এসেছেন। তারা ৮ দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। এই সফরের দুই দিনের জন্য তারা সুন্দরবন যাবেন, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার দর্শনে যাবেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়াও দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখবেন। একইসঙ্গে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে নিজ বাস ভবনে ঘাতকরা হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর নামে গড়া বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামে যাবেন। বিজয় দিবসের দিন তারা প্যারেড পরিদর্শনেও যাবেন।

তিনি বলেন, তাদের সাথে আজ অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা নানা প্রশ্ন করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর আমরা দিয়েছি। আমরা তাদের অনুরোধ জানিয়েছি বর্তমানে বাংলাদেশের ইমেজকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য। গত সাড়ে ১০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সূচক সকল দেশের উপরে। বাংলাদেশ এমন এক দেশ যেখানে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার অবস্থিত এটা তাদেরকে অবহিত করেছি। একইসঙ্গে পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ বন যেখানে রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে সে বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, এক কোটি ২০ লাখের অধিক বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে। তারা শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন না বিশ্ব অর্থনীতিতেও তাদের অবদান রয়েছে তা বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে বলেছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে অভিষ্ট লক্ষ্যে উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরিত হবে। সেটিও উপস্থাপনের জন্য তাদেরকের বলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর