ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে ই-পাসপোর্ট চালু হতে আরও কিছু সময় লাগবে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
সভা শেষে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা বলেন, ‘এখন যে পরিমাণ পাসপোর্টের চাহিদা সেটা আমরা পূরণ করতে পারছি না। সারা বিশ্বে আমাদের যে দূতাবাস রয়েছে তাদের একটাই কথা, তারা সময়মত পাসপোর্ট পাচ্ছে না বা কম পাচ্ছে। পাসপোর্ট যারা তৈরি করে তারা সেভাবে আমাদের দিতে পারেনি। সে জন্যই আমাদের একটা গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা দ্রুত চাহিদা মেটাতে পুরোনো প্রতিষ্ঠান আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেডের নিকট থেকে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছি। এতে খরচ হবে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৭ টাকা। আমাদের পাসপোর্ট আরও প্রয়োজন। কিন্তু দ্রুত চাহিদা মেটাতে আমরা ২০ লাখ কিনছি। পাশাপাশি আমরা ই-পাসপোর্টে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছি।’
একই দামে একই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২০ লাখ এমআরপি পাসপোর্ট ক্রয়ের প্রস্তাব গত ২৭ নভেম্বর এ কমিটিতে উপস্থাপন করা হলে ৬৭ শতাংশ বেশি দাম প্রস্তাব করা হয়ে উল্লেখ করে প্রস্তাবটি ফেরত দেয়া হয়। একইসঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাম কমিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয় অথচ আজ ২৭ নভেম্বরে প্রস্তাবিত দামেই প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হলো এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, 'দাম বেশির বিষয়টি তারা ভুল বুঝিয়েছিলো। আমরা হিসাব করেছিলাম একনেকে মূল যে প্রকল্প অনুমোদন হয়েছিলো সেটি। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে এটার ভেরিয়েশন (মূল্য বেড়েছে) হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধিসহ এখন যেটা হয়েছে সেটা হিসাব করতে হবে। কিন্তু আমরা ২৭ নভেম্বরের মিটিং এ ভুল করে একনেকে অনুমোদিত মূল্য হিসাব করেছিলাম।‘
প্রসঙ্গত, কয়েক দফা ই-পাসপোর্ট চালু করার ঘোষণা দেয়া হলেও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। তাই ই-পাসপোর্ট চালু না হওয়া পর্যন্ত জনগণের চাহিদা মেটাতে ২০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) কিনছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ। ৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এসব পাসপোর্ট সরবরাহ করবে আইডি গ্লোবাল সলিউশন লিমিটেড। এ সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাব দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্য এই ক্রয় প্রস্তাবটি গত ২৭ নভেম্বর ক্রয় কমিটি ৬৭ শতাংশ বেশি দাম প্রস্তাব করা হয়ে উল্লেখ ফেরত দেয়। কিন্তু আজ আগের দামেই পূর্বের প্রতিষ্ঠানকেই সরবরাহ করার দায়িত্ব দেয়া হলো।