তর্জনী উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতে জঙ্গিরা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 07:38:35

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার আসামিরা তর্জনী উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতের ভেতর প্রবেশ করে। প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে আদালতে প্রবেশ করার সময় ৮ জঙ্গিকে খুবই আত্মবিশ্বাসী দেখা গেছে। তাদের চোখেমুখে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা নিয়ে কোনো ধরনের আতঙ্ক দেখা যায়নি। জঙ্গিদের মধ্যে একজনের পায়ে সমস্যা থাকায় সে ক্রাচে ভর করে আদালতে প্রবেশ করে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ১০টা ২০ মিনিটে আসামিদের প্রিজন ভ্যানে করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজত খানায় আনা হয়।

ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমানের আদালতে বেলা ১২টা নাগাদ রায় ঘোষণা করা হতে পারে।

তর্জনী উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতে জঙ্গিরা/ছবি: সুমন শেখ
 

আসামিরা হলেন- রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

রায়ের আগে চার্জশিটের ২১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।

তর্জনী উঁচিয়ে হাসিমুখে আদালতে জঙ্গি/ছবি: সুমন শেখ

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালায় জঙ্গিরা। ওই হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে তারা।

নিহতের মধ্যে নয়জন ইতালি, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয় ছিলেন।

এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

ক্রাচে ভর করে আদালতে আসামি/ছবি: সুমন শেখ

পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ নামক অভিযান চালায়। এতে পাঁচ হামলাকারী নিহত হয়। অভিযানে রেস্তঁরার প্রধান শেফ সাইফুল ইসলাম মারা যান। গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রেস্তোরাঁটির সহকারি শেফ জাকির হোসেন।

প্রিজন ভ্যান থেকে নামছে জঙ্গি/ছবি: সুমন শেখ

২০১৬ সালের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

ঘটনায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বাকি ১৩ জন মামলা তদন্ত চলাকালীন বিভিন্ন সময় মারা যান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর