‘উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণির নারীরা অতিমাত্রায় ধূমপায়ী হচ্ছে’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-23 06:29:25

বাংলাদেশের তামাক নীতিতে নানাভাবে হস্তক্ষেপ ও নীতি প্রণয়নে বাধা প্রদানের জন্য তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কূটকৌশল নিয়ে ‘নীতিতে তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন, সমাজের উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণির নারীরা অতিমাত্রায় ধূমপায়ী হচ্ছে ।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং তামাক বিরোধী জোটের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল চারটায় রায়েরবাজারস্থ ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট ভবনের সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে যমুনা টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সুশান্ত সিনহা এক ঘণ্টার একটি উপস্থাপনায় দেখানোর চেষ্টা করেন কিভাবে বাংলাদেশে তামাক বিরোধী নীতিতে তামাক কোম্পানিগুলো হস্তক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোম্পানিগুলো দেশের বাইরে টাকা পাচার করছে। দীর্ঘ এই উপস্থাপনায় উঠে আসে, আইন লঙ্ঘন করে তামাক কোম্পানিগুলো গণমাধ্যমে কিভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে আসছে। মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গকে নিজেদের কোম্পানির লোক বানিয়ে নানাভাবে তামাক বিরোধী নীতি শিথিল করছে এবং কর ফাঁকি দিচ্ছে। তথ্য বিভ্রান্তির মাধ্যমে ভুল পরিসংখ্যান মানুষের সামনে উপস্থাপন করে নিজেদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও আলোচ্য বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন ডাক্তার খালেদ শওকত আলী। কালের কণ্ঠের সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার সৈয়দা অনন্যা রহমান।

প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সেমিনারে বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের বিক্রি আইন করে বন্ধ করতে হবে। উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণির নারীরা অতিমাত্রায় ধূমপায়ী হচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সর্বোপরি বক্তারা আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চাওয়া অনুযায়ী আগামী ২০ বছরের মধ্যে যদি তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই তাহলে সব থেকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের। বক্তারা মনে করেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সদিচ্ছা না থাকলে বাংলাদেশ তামাক নিয়ন্ত্রণ করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

এছাড়া সেমিনারে বিভিন্ন এনজিও’র ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন নাগরিক অংশগ্রহণ করেন। নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বাংলাদেশকে কিভাবে একটি তামাক মুক্ত দেশে পরিণত করা যায়, সে ব্যাপারে করণীয় কি হতে পারে এমন নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, সেমিনারে ‘তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রমোশন এবং পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ বিষয়ক নির্দেশিকা’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর