লেক-খাল পরিষ্কারে চিঠি, না মানলে আইনগত ব্যবস্থা

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-28 13:21:14

রাজধানীকে ঘিরে যে সকল লেক, খাল, ডোবা, পুকুর ও খালি জায়গা রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার রাখতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এরই মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা ওয়াসাকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্ব স্ব সংস্থার লেক, খাল ও ডোবা পরিষ্কার করতে। এরপরও যারা পরিষ্কার করবে না বা পরিষ্কার রাখবে না, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর এলাকার ইকবাল রোড মাঠে মশক নিধনে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন পূর্ব বক্তৃতায় মেয়র এসব কথা বলেন।

মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ডোবা, নালা, লেক, খাল ও পরিত্যক্ত জায়গা- এসবের কারণে মশার সৃষ্টি হচ্ছে। তাই আমরা বলেছি যার যার খাল, নালা, ডোবা, লেক, খোলা জায়গা পরিষ্কার রাখুন। আমরা এরই মধ্যে ওয়াসা ও রাজউককে চিঠি দিয়েছি। প্রয়োজনে সংস্থার বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে কথা বলব। যারা পরিষ্কার করবে না, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকব।

বাড়ির মালিকদের সর্তক করে মেয়র বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় ম্যাথর প্যাসেজ নামে একটি জায়গা আছে। আজ থেকে এটার নাম সার্ভিস প্যাসেজ। নগরবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা মন মানসিকতার পরিবর্তন করুন। বাড়ি থেকে কীভাবে রাস্তায় ময়লা ফেলেন? প্রত্যেক দিন আমাদের লোক গিয়ে ছাপ (পরিষ্কার) করবে এটি কিন্তু হবে না। আপনাদের এলাকা আপনারা পরিষ্কার করুন। স্থানীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছি বাড়ির মালিকদের নোটিশ দিতে, কোথাও যেন নোংরা না করে। এরপর যদি না মানে, তাহলে অবশ্যই ফাইন করব।

মশক নিধনে নেওয়া কার্যক্রমের বর্ণনা করে মেয়র বলেন, আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে আলোচনা করে কিউলেক্স মশা নিধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। মশা নিধনে সনাতনী পদ্ধতি থেকে আধুনিক যন্ত্রপাতির দিকে যাচ্ছি। ড্রেনে আটকে থাকায় জায়গা গুলোতে স্প্রে করার জন্য মিক্সড ব্লোয়ার মেশিন নিয়ে এসেছি। এটি ড্রেনের ভেতরে ২০ ফুট পর্যন্ত ওষুধ স্প্রে করার ক্ষমতা রাখে। ২০টি মিক্সড ব্লোয়ার মেশিন চলে এসেছে। এছাড়া দুটি অত্যাধুনিক ভেহিক্যাল মাউন্টেইন ফগিং মেশিন আনা হয়েছে, আরো ৩টি আনা হবে। এই মেশিন দিয়ে দিনে ৫০ লিটার পর্যন্ত ফগিং করা যাবে। এসব যন্ত্রপাতি মশক নিধনে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

কিউলেক্স মশা নিধনে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে ডিএনসিসি’র ৫৪ ওয়ার্ডের প্রত্যেকটিকে ১০ ভাগে ভাগ করে ৫৪০টি জায়গা সনাক্ত করে ১০ দিন মশক নিধনের কার্যক্রম চালানো হবে। ওই সময় শুক্র, শনিবার বন্ধের দিনও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মশক নিধনের অংশ হিসেবে মোহাম্মদপুর এলাকার ৬২০টি হটস্পট (যেখানে মশার বংশ বিস্তার বেশি) নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথমে সেই সকল হটস্পটে ওষুধ স্প্রে করে মশা নিধনের পর আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হবে দিনের বিশেষ এই অভিযান।

২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে মশক নিধন কার্যক্রমের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহমেদ, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম মঞ্জুর হোসেন, প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর