বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের মধ্যে একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বরিশালের চরমোনাই জামিয়া রশীদিয়া আহছানাবাদ মাদ্রাসায় এই সাক্ষাৎ হয়।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ও কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং দ্বীনি শিক্ষার প্রচারে মাদ্রাসার ভূমিকাকে প্রশংসা করেন। এসময় তিনি মাদ্রাসার শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ করেন।
পরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ নেতা চরমোনাই পীরের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নেন ডা. শফিকুর। বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সুষ্ঠু নির্বাচন, এবং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কর্মকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
দুই নেতা এ সাক্ষাতে ইসলামিক দলগুলোর ঐক্য ও সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেন। তাদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে একযোগে কাজ করলেই দেশের উন্নয়ন, শান্তি, এবং ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও দেশের মানুষ মর্যাদার অভাবে ভুগছে। দুর্নীতি এবং দুঃশাসন এর প্রধান কারণ। ইসলামী রাজনীতির মাধ্যমে দেশে সুশাসন এবং ন্যায়ের পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
অন্যদিকে চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করীম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ইসলামপন্থীদের জন্য কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে মানুষের ক্ষতি হবে। ইসলামিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দেশের নেতৃত্ব ইসলামপন্থীদের হাতেই থাকবে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে দুই শীর্ষ নেতা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতি জোর দিয়ে জানান, ইসলামী আদর্শে বিশ্বাসী মানুষের সমর্থন একত্রে নির্বাচনের বাক্সে পড়বে। এসময় ভারতের সঙ্গে নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জামায়াত আমির ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দেশের স্বার্থরক্ষায় পরিবর্তনের তাগিদ দেন।
দুই নেতা একমত হন যে, মতপার্থক্য থাকলেও দেশের কল্যাণে ইসলামি দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নেই। সামনের দিনগুলোতে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেন তারা।
এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ রাজনৈতিক অঙ্গনে ইসলামি ঐক্যের একটি নতুন বার্তা হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।