মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, তামাক সেবন বন্ধে করারোপ অন্যতম কার্যকর পদ্ধতি, তবে একমাত্র পদ্ধতি নয়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সিগারেটে কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইনের মধ্যে তামাকের প্রচার, বিক্রি বন্ধ থাকা সত্ত্বেও সিগারেট কোম্পানিগুলোর উৎসাহ এবং আকর্ষণ তৈরির ফলে তামাক সেবন এখনও কমাতে দিচ্ছে না।
উপদেষ্টা বলেন, গবেষণায় বলা হচ্ছে দেশে ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকে, এর অর্থ হচ্ছে দেশে প্রতি তিনজনে একজন সেবনকারী। আর প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু, যে মৃত্যু হবার কথা নয়, শুধু তামাক সেবনের ফলে তার ২২ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে। এ চিত্র একদিকে যেমন ভয়ংকর অন্যদিকে উদ্বেগের।
ফরিদা আখতার বলেন, এসডিজি'র অভীষ্ট ৩ দশমিক ৯-এর লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য রক্ষায় তামাক উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে তা কার্যকর করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন ও অবিলম্বে বাস্তবায়ন দরকার।
তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মধ্যে ভীতি কাজ করে, বেশি করারোপ করলে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাবে। তামাক কোম্পানিগুলো রাজস্ব কমানোর জুজুর ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বহু গবেষণার পর্যবেক্ষণ হলো তামাক ব্যবহার কিছুটা কমবে, তবে রাজস্ব বাড়বে।
উন্নয়ন সমন্বয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর জাহিদ রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সিটিএফকে-বাংলাদেশের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বিআইডিএসের রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এস. এম. জুলফিকার আলী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। এতে প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেছেন উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।
সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক অর্থবছরগুলোতে বাংলাদেশে বাজেটে বিভিন্ন স্তরের সিগারেটের দাম অল্প-অল্প করে বাড়ানো হলেও বৃদ্ধির এ কৌশল কাঙ্ক্ষিত সুফল দিতে পারছে না।
নিত্যপণ্যের দাম যেভাবে বেড়েছে, সিগারেটের দাম সে হারে বাড়েনি। তারা সিগারেটের ব্যবহার কমাতে ট্যাক্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিগারেট ক্রয় ক্ষমতার বাইরে গেলে ব্যবহার অনেকাংশে কমে যাবে।