চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতিত রোগীদের প্রেসক্রিপশন লেখার দায়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নাইম হাসান নামে পি.ডি.টি ট্রেনিং এ থাকা এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও ঔষুধ কোম্পানির একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার দায়ে ডি.এম.এফ ইন্টার্নি ম্যাটস এর ছাত্র মোঃ আশিক (২২)কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকালে রোগীদের হয়রানির ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল।
এসময় তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দালালরা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে নিয়ে যেত। সোমবার এসব অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনায় চারজনকে চিহ্নিত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন চিকিৎসকের অনুমতি ব্যতীত রোগীদের প্রেসক্রিপশন লেখার দায়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নাইম হাসান নামে পি.ডি.টি ট্রেনিং এ থাকা এক ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ডের এবং ডি.এম.এফ ইন্টার্নি ম্যাটস এর ছাত্র মোঃ আশিক (২২) ঔষুধ কোম্পানির একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার দায়ে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও রোগীদের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগে মোঃ বাপ্পি (৪০) ও হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স পলি খাতুন ও হাবিবুর রহমান নামে তিনজনকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
হাসপাতাল এলাকা দালালমুক্ত করতে এই ধরনের অভিযান চলামান থাকবে বলেও জানান ইউএনও। সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অনিয়ম দুর্নীতির আতুড় ঘর হিসেবে পরিচিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল। এখানে দালালদের দৌরাত্মে অসহায় চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় রোগী এবং তাদের স্বজনরা। এসব নিয়ে কয়েক দিন ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে।