শুল্ক বাড়ায় অস্থির ফলের বাজার

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2025-01-19 20:35:01

ভরা মৌসুমে বাজারে বাহারি ফলে সেজেছে ব্যবসায়ীর পসরা। থরে থরে নজর কাড়ছে লোভনীয় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ফল। দীর্ঘদিন ধরে দাম বাড়তি থাকায় একদিকে নিম্ন-মধ্যবিত্তদের নাগালের বাহিরে ফল। এরইমধ্যে হঠাৎ করে শুল্ক বাড়ানোর কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে ফলের বাজার। এতে করে দরদাম করেই খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন অনেক ক্রেতা, কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নেই বাজারে এমনটি বলছেন ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে রংপুর নগরীর সিটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ৫ দিনে আপেল, কমলা, বড়ই, মাল্টা, আঙুরসহ প্রায় সব ধরনের বিদেশি ফলের দাম পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২০-৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে এসব ফলের বিক্রি প্রায় অর্ধেক কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুকনো ও টাটকা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ।

জানা গেছে, রংপুর সিটি বাজারে প্রতি ২০ কেজির কার্টুন প্রতি দাম ছিল ৫ হাজার টাকা, গতকাল তা বেড়ে ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আঙুর প্রতি কার্টুন ৯ কেজির দাম ছিল ৪ হাজার ৫০০ টাকা, তা বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার টাকায়। এছাড়াও কমলার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারত থেকে আমদানি করা কমলা বিক্রি হয়েছিল ৮-৯ কেজির কার্টুন এখন ৫ হাজার ৪০০ টাকায় উঠেছে। চায়না কমলা বিক্রি হয়েছিল প্রতি কার্টুন ৩ হাজার ১০০ টাকা, এখন তা ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৪-১৫ কেজির প্রতি কার্টুন ৩ হাজার ৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৩ হাজার ১০০ টাকা।

এদিকে, ফলের দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাড়তি দামে ফল কিনতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন,ফলের যে দাম পরিবারে বড়দের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয় না। কিন্তু এখন দিনের পর দিন দাম যেভাবে বাড়ছে শিশুদেরকে খাওয়ানো খুব মুশকিল হয়েছে।

বিক্রি কম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে ফল বিক্রেতারা বলেন, ফলের দাম কম থাকলে আমাদের বিক্রি বেশি হয়। ফলের পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে দাম বাড়লে আমাদের জন্যও সমস্যা। প্রতিবার দাম বাড়লেই বিক্রি কমে হয় সংসার নিয়া টানাটানিতে পরতে হয়। আবার ফলের দাম বাড়ায় আমাদের বিক্রি প্রায় অর্ধেকে নেমেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর