নেত্রকোনার দুর্গাপুরে জমি-সংক্রান্ত সমস্যায় পূর্ব বিরোধের জেরে খলিলুর রহমান (৫০) নামের এক কৃষকের শরীরে এসিড নিক্ষেপ করেছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরিফ মিয়া (৩৬) নামে একজনকে আটক করেছে দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।
আটককৃত শরিফ মিয়া (৩৬) উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের ধানীপাড়া এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে ওই কৃষকের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নাওদ্বারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহত অবস্থায় খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পারিবার ও মামলা সূত্রে জানাযায়, উপজেলার দক্ষিণ নাওদ্বারা গ্রামের খলিলুর রহমানের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী আঃ হান্নান ও মিজান মিয়ার। এ ঘটনায় গত (১১ জানুয়ারি) শনিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন খলিলুর। সেই জের ধরে (১৫ জানুয়ারি) বুধবার দিবাগত মধ্যে রাতে খলিলুর প্রসাব করতে বের হলে শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসিডে তার শরীরের পেছনের অংশ পুড়ে ঝলসে যায়। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে দ্রুত ঘটনাস্থান থেকে পালিয়ে যায় এসিড নিক্ষেপকারীরা।
আহত কৃষকের ছেলে মিজানুর রহমান জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাড়িতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। বাবা রাতে প্রসাব করার জন্য রুম থেকে দরজা খুলে বের হলে দরজা খোলার শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর পাঁচ মিনিট পরেই বাবার চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে দেখি আঃ হান্নান ও শরীফ পালিয়ে যাচ্ছে। পরে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, শরীরের ১০% ভাগ এসিডে ঝলসে গেছে। হাসপাতালেই ভর্তি রাখা হয়েছে। বর্তমানে অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করার পরে অভিযুক্ত একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করি। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আদালতে সোর্পদ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।