কৈশোরে ব্রণ হওয়ার কারণ এবং হলে করণীয়

, লাইফস্টাইল

প্রমা কান্তা কোয়েল, বার্তা২৪.কম | 2025-01-28 15:09:33

বয়ঃসন্ধিকাল ছেলে মেয়েদের শরীরে নানারকম পরিবর্তন আসতে শুরু করে। এসময় তাদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে বড়দের থেকে সহযোগিতা এবং মনোযোগ প্রয়োজন। নানারকম হরমোনের কারণে তাদের শরীরে পরিপক্কতা আসে, তবে এসময় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনও তাদের শরীরে আসে। এ নিয়ে কথা বলেছেন ইউনিভার্সেল চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার ফারিবা মজিদ।

হরমোনের তারতম্যের কারণে কিশোর বয়সে ছেলে মেয়ে উভয়েরই ত্বকে ব্রণ বা অ্যাকনি হতে দেখা যায়। বাড়তি বয়সে শরীরে হতে থাকা বিভিন্ন পরিবর্তনের কারণে ব্রণ হতেই পারে। তবে অনেক সময় ত্বকের প্রতি অবহেলার কারণে অ্যাকনির সমস্যা আরও বাড়তে দেখা যায়। মূলত যেসব কারণে ব্রণের পরিমাণ বাড়ে:

কৈশোরে ব্রণ / ছবি: পিক্সাবে

১. মুখ পরিষ্কার রাখতে নিম্নতম যত্নবান না হওয়া।

২. বারবার ব্রণ পরিষ্কার করা। যেকারণে ব্যাকটেরিয়া ত্বকের আরও অংশে ছড়িয়ে পরে।

৩. বেশি মেকআপ ব্যবহার করা এবং দীর্ঘসময় পরও মেকআপ তুলে না ফেলা। মেকআপ ত্বকে একটি পর্দার মতো কাজ করে। একারণে লোমকূপের ছিদ্রগুলো আটকে যায় এবং ব্রণের সমস্যা

বাড়ে।

৪. মেয়েদের স্বাভাবিকভাবেই ব্রণের সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। কেননা পিরিয়ডের কারণে মেয়ের শরীরে সারামাসই হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। বিশেষ করে পিরিয়ডের শুরুতে বেশিরভাগ

মেয়েদের হরমোনের মাত্রার ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়।

৫. ধীরগতির মেটাবলিজমের কারণে শরীরে শর্করা বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলেও ব্রণ বাড়ার সমস্যা দেখা দেয়।

৬. অতিরিক্ত ভাজা ও তেল মশলাদার খাবার খেলেও তার প্রভাব ত্বকে পড়ে। চর্বিজাতীয় খাবারের কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ে এবং ব্রণ হয়।

ব্রণ হলে ত্বকের যত্ন যেভাবে করতে হবে, সে সম্পর্কে তিনি বলেন-

ব্রণ থেকে বাঁচতে ত্বকের যে যত্ন করতে হয়, তার ২ টি ধাপ রয়েছে।

১. ক্লিনজিং: মুখের ময়লা ও তৈলাক্তভাব দূর করতে মুখ মৃদু ক্লিনজার দিয়ে ধুতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত এভাবে ত্বক পরিষ্কার করা অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে অবশ্যই

ভালো করে ধুলা-ময়লা ও মৃত কোষ পরিষ্কার করতে হবে।

২. ময়েশ্চারাইজার: ত্বকের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ মকরে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে।

কৈশোরে ব্রণ / ছবি: পিক্সাবে

ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও একে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। সমস্যা গুরুতর মনে হলে বা ত্বকের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে চাইলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া আরও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, তা হলো-

১. ব্রণ বারবার স্পর্শ করা যাবে না। এতে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে, অথবা ত্বকের গভীরে পৌঁছে যেতে পারে। তেমন হলে ত্বকে দাগ ব্রণের দীর্ঘস্থায়ী দাগ পড়ে যায়।

২. শর্করা এবং চর্বি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিনিযুক্ত ও ফাস্টফুড খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

৩. পানি এবং উপকারী পানীয় বেশি করে পান করতে হবে।

৪. ত্বকের ধরন বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।

৫. স্টেরয়েডজাতীয় প্রসাধনী ক্রিম ব্যবহার করা যাবেনা।

৬. প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মৌসুমি ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর