আমিষ ঠিকভাবে হজম না হওয়ার লক্ষণ

, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2025-01-28 15:02:00

আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাই তার মধ্যে আমিষ বা প্রোটিন এবং ফাইবার বা তন্তুজাতীয় খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উপাদান। এই সুষম খাদ্য উপাদান দু’টি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অধিক পরিমাণে রাখা প্রয়োজন। কারণ, এই খাবারগুলো তৃপ্তি প্রদান করে এবং শরীরের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পাদনে সাহায্য করে। তবে এই খাবারগুলো হজম হতেও শরীরের অনেক শক্তি ক্ষয় হয়। তাই দুর্বল হজম ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষের আমিষ হজমের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে।

আমিষ খাবার বলতে শুধু মাংস, মাছ এবং ডিমকেই বোঝায় না। এইসব উপাদানে আমিষের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে বটে। তবে পনির, ছোলা, ডালও আমিষের ভালো উৎস। আমিষ দৈনিক খাদ্যতালিকার অত্যাবশ্যকীয় উপাদান হলেও, এর ভালোভাবে হজম হওয়াও শরীর সুস্থ থাকার জন্য জরুরি।

তবে কীভাবে বুজবেন যে আপনি ভালো করে আমিষ হজম করতে পারছেন না? আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরপরই ফোলাভাব, পেট ফাঁপা, গ্যাস অনুভব করা এবং পেট ব্যথা হওয়ার লক্ষণ হতে পারে আমিষ হজম না হওয়ার লক্ষণ। ভারতীয় চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ সি ভি ঐশ্বরিয়া এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেছেন।

১. পেট ফোলা বা গ্যাস: আমিষ হজম না হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো পেটে গ্যাস অনুভব  করা বা পেট ফুলে ওঠা। প্রোটিন সম্পূর্ণরূপে হজম না হলে, অন্ত্রে জমা হয়ে গাঁজন হতে পারে। এই কারণে গ্যাস সৃষ্টি  ও ফোলাভাব হয়।

২. খাওয়ার পরে ক্লান্তি: প্রোটিন হজমে শরীরের অনেকখানি শক্তি ক্ষয় হয়। হজম ভালোভাবে না হলে সেখানে আরও বেশি শক্তি কাজে লাগাতে হয়, খাবার হজম করার জন্য। এতে অনেকখানি শক্তি অপসারণের কারণে  উচ্চপ্রোটিন সম্পন্ন খাবার খাওয়ার পরে ক্লান্ত লাগতে পারে।

৩. ঘন ঘন বদহজম: পেটে যখন আমিষ গিয়ে পৌঁছায় তখন জৈব হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (এইচসিএল) নিঃসরণ হয়। সেই এইচসিএল অ্যাসিডের কারণে পাকস্থলিতে প্রোটিন হজম হয়। একারণে প্রোটিন হজম না হলে অ্যাসিডের কারণে বদহজম বা বুকজ্বালার মতো সমস্যা বেড়ে যায়।

৪. দুর্বল চুল, নখ বা ত্বক: খাবার হজম হওয়ার সময় প্রোটিন সংশ্লিত হয়ে অ্যামিনো অ্যাসিড উৎপন্ন হয়, যা কোষকে বাঁচিয়ে রাখে ও শক্তি প্রদান করে। আমিষ হজম না হলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যামিনো অ্যাসিড শোষণের হার কমে যায়। ফলে নখ দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, চুল পাতলা হয়ে যায় এবং ত্বকের ক্ষতি হয়।

৫. পেশী ক্ষয়: চুল, নখ এবং ত্বকের মতোই যখন শরীর পর্যাপ্ত অ্যামিনো অ্যাসিড না পায়, তখন পেশীক্ষয়ও হতে পারে। এরকম হলো শারীরিকভাবে অধিক পরিশ্রম (যেমন:জিম বা ওয়ার্কআউট) –এরপর শরীরে পেশি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

এ সম্পর্কিত আরও খবর