বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম এজাহারে থাকার পরও গ্রেফতার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
এদিকে রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিএনপি এ নেতার ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন গ্রহণ না করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। অপরদিকে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় বিএনপি মহাসচিবকে জামিন প্রশ্নে রুলের শুনানি আগামী ৩ জানুয়ারি নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসচিবের এজাহারে নাম থাকার পরও গ্রেফতার না দেখানো ৯টি মামলায় জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা। আদালতে আবেদনগুলো শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয় আদালতে।
ওইদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী ও মো. শফিউদ্দিন বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত, জামিনের আবেদন শুনানির এখতিয়ার আদালতের নেই। এসময় আদালত তাদের এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, জামিন আবেদন করা ৯ মামলায় মির্জা ফখরুল এজাহারনামীয় আসামি হলেও তাকে এসব মামলায় গ্রেফতার দেখায়নি রাষ্ট্রপক্ষ। মামলাগুলোর মধ্যে পল্টন থানার সাত মামলা ও রমনা মডেল থানার তিন মামলা রয়েছে।