জাল সনদে আইনজীবী, ধরা খেয়েই রিমান্ড

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-12-17 17:52:42

আইনজীবীর জাল সনদে পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানিতে আইন কর্মকর্তা হিসেবে ৩ বছর কর্মরত থেকে ধরা খেয়ে ২ দিনের রিমান্ডে গেলেন রফিকুল আলম ওরফে হাসান (৫৯) নামের এক ভুয়া আইনজীবী। তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরাফাতুল রাকিব শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর ফেনী জেলার মুন্সিরহাট থানার পূর্ব দরবারপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আসামি রফিকুল আলম হাসানকে পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানির মামলা পরিচালনার জন্য কোম্পানির আইনজীবী নিয়োগ করা হয়। নিয়োগের সময় তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ২০০৭ সালে আাইনজীবী হিসেবে সনদ পেয়েছেন এবং ঢাকা আইনজীবী সমিতির তার সদস্য নং-৫০৩৭ বলে জানান। তিনি ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মরত থেকে আইনজীবীর ফিস ও তদবিরের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।

বাদীর প্রতিষ্ঠান পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আসামি একজন ভুয়া আইনজীবী। তিনি মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবীর ফিস, তদবির ও অন্যান্য খরচ বাবদ কোম্পানি হইতে টাকা গ্রহণ করিয়াও উক্ত টাকা খরচ না করিয়া নিজে আত্মসাৎ করিয়াছে। তিনি কোম্পানির সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন দলিলপত্র, কাগজপত্রাদি ও অন্যান্য সুপারিতা সহ গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস গ্রহণ করিয়া উহা কোম্পানিকে ফেরৎ না দিয়া নিজের কাছে আটকাইয়া রাখে।

এছাড়া আসামি বাদীর মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে বাদীর হাতেগড়া ৪টি কোম্পনির নামীয় ১৩০ কাঠা জমি স্থাপনাসহ আটশ কোটি টাকার সম্পত্তি দলিলে মাত্র ২০৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা মূল্য দেখাইয়া প্রতারণামূলকভাবে ভুল বুঝাইয়া বাদীর স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য ও রেজিস্ট্রি অফিসে জোরপূর্বক নেওয়ার জন্য কয়েক দফা চেষ্টা চালায়। এ অভিযোগে গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান খান মোহাম্মাদ আমির রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর