রবিউল আলম রবিসহ বিএনপির ১০৯ জনের কারাদণ্ড

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-12-13 21:45:54

নাশকতার পাঁচ মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০৯ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিভিন্ন মেয়াদে এ কারাদণ্ড দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে দু-একজন ছাড়া সবাই পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, আসামিদের মধ্যে ইতিপূর্বে কেউ মৃত্যুবরণ করে থাকলে তার বিরুদ্ধে এই রায় কার্যকর হবে না। উত্তরখানের এক মামলায় ৬৭ জন, কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ৫ জন, গুলশান থানার মামলায় ১৫ জন, ধানমন্ডি থানার মামলায় ২২ জন, হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন।

ধানমন্ডি থানার মামলায় ২২ জনের কারাদণ্ড

২০১৮ সালে ধানমন্ডি থানায় করা মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম রবিসহ ২২ নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্যরা হলেন- হাজারীবাগ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের মানিক, ধানমন্ডি থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, হাজারীবাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজিবুর রহমান মজু ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন, হাজারীবাগ থানা ছাত্রদলের সভাপতি আনিসুর রহমান শিবলু।

কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ৫ জনের সাজা

২০১৮ সালে কামরাঙ্গীরচর থানায় হওয়া নাশকতার মামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দুই আসামি মো. নাঈম (৪২) ও মো. গাফফার (৪৩) কে তিন ধারায় ৪ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর তিন আসামি- জাবেদ, শহিদুল হক ও মো. আইয়ুবকে এক বছর তিনমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৯ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় মিছিল করে বিএনপি। মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত করার অভিযোগে ঘটনার দিনই কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৩১ মে উপ-পরিদর্শক মো. আহসান হাবীব ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

গুলশান থানার মামলায় ১৫ জনের কারাদণ্ড

দশ বছর আগে রাজধানীর গুলশান থানায় হওয়া নাশকতার এক মামলায় ১৫ বিএনপি নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান।

এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১০ এপ্রিল নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।

উত্তরখান থানার দুই মামলায় ৬৭ জনের কারাদণ্ড

২০১৮ সালে করা দক্ষিণখান থানার দুই নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৭ জনকে দুই বছর একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত থাকায় তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

হাজারীবাগ থানার মামলায় ২৮ জন খালাস

হাজারীবাগ থানায় করা নাশকতার এক মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত ২৮ আসামির সবাইকে খালাস দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় দেন। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর হাজারীবাগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ২০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক লন্ডন চৌধুরী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর