হাদিসে শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা পালনের কথা বলা হয়েছে। এ ছয় রোজার ফজিলত অনেক বেশি। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রমজানের রোজার পর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখতেন।
শাওয়ালের ছয় রোজা ধারাবাহিকভাবে একত্রে রাখা যায়, আবার বিরতি দিয়েও রাখা যায়। যেভাবেই রাখা হোক তা আদায় হয়ে যাবে এবং নির্ধারিত ফজিলতও লাভ হবে।
অনেকে ভুল করে রমজানের কাজা রোজা এবং শাওয়ালের ছয় রোজা একত্রে নিয়ত করলে রাখেন। এটা ভুল। এক্ষেত্রে শুধু রমজানে কাজা রোজা আদায় হবে। শাওয়ালের ছয় রোজা আদায় হবে না এবং ছয় রোজার সওয়াবও পাওয়া যাবে না। শাওয়ালের ছয় রোজা রাখতে হলে পৃথকভাবে শুধু এর নিয়তে রোজা রাখতে হবে।
অনেকের রমজানের রোজা কাজা থাকে। এমতাবস্থায় উত্তম হলো- আগে কাজা রোজা আদায় করা। কারণ, কাজাটা ফরজ রোজার কাজা। আর ৬ রোজা ফরজ বা ওয়াজিব নয় এটা নফল। তাই আগে কাজা আদায় করবে। তবে কাজা রোজা আদায়ের আগে নফল এই ছয় রোজা আদায় করলে রোজার ফজিলত পাওয়া যাবে।
যদি কারও অসুস্থতার কারণে, সফরের কারণে, নেফাসের কারণে এতো বেশি রোজা কাজা থাকে যে, কাজা আদায় শেষে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখার সময় পাবে না তবে সে কিছু কাজা আদায় করে শাওয়ালের ৬ রোজা রেখে এরপর শাওয়াল বা তার পরবর্তী মাসে বাকি কাজা রোজা আদায় করতে পারবে।
কাজা রোজা বা শাওয়ালের ৬ রোজা বিরতিহীনভাবে রাখার কোনো শর্ত নেই। কেউ চাইলে টানা রাখতে পারে কেউ চাইলে বিরতি দিয়েও রাখতে পারবে।