২০২২ সালে সুইডেনের একটি ঘটনা গোটা বিশ্বজুড়ে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল। সেখানে অতি দক্ষিণপন্থি রাসমুস পালুদান মুসলিমদের বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রকাশ্য রাস্তায় পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছিলেন। যার জেরে বিশ্বের বহু দেশে প্রতিবাদ করেছিলেন মুসলিমরা। এবার সেই আলোচিত পালুদানকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠিয়েছেন আদালত।
২০২২ সালে সুইডেনের এই ঘটনার কারণে সুইডেনকে কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও এই ঘটনার প্রতিঘাত সহ্য করতে হয়েছিল। তুরস্ক সরাসরি এর বিরোধিতা করেছিল কূটনৈতিক মঞ্চে। প্রশ্ন উঠেছিল সুইডেনের মতো ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে আদৌ কি শাস্তি হবে ওই ব্যক্তির?
৫ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সুইডেনের একটি আদালতে মামলাটির শুনানি হয়। বিচারক জানান, প্রকাশ্যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরোধিতা করা যায়। সুইডেনের আইন তার সুযোগ দেয়। কিন্তু বিরোধিতা করারও একটি সীমা আছে। এই ঘটনায় সেই সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে, যা ঘটানো হয়েছে, তাতে সরাসরি মুসলিমদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে, যা আইনসম্মত নয়। পরে সুইডেনের আদালত ওই ব্যক্তিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
শাস্তি শোনার পর অপরাধী ওই ব্যক্তি মুখ খুলেছেন। পেশাগতভাবে তিনি একজন আইনজীবী। তার বক্তব্য, ‘আদালতের রায়ে আমি বিস্মিত নই। উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
অপরাধী ওই ব্যক্তি সুইডেনের পাশাপাশি ডেনমার্কেরও নাগরিক।
ডেনমার্কেও ২০২০ সালে তাকে একই শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও ওই ব্যক্তি আদালতে দোষ স্বীকার করেননি। বরং আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন।
উল্লেখ্য, ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছেন কট্টর ডানপন্থী নেতা রাসমুস পালুদান। কোপেনহেগেনের যেখানে পবিত্র কোরআন পোড়ানো হয়, তার পাশেই একটি মসজিদ রয়েছে।