‘যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী মিসরের আল আজহারে পড়তে যাচ্ছে, তারা দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশে ও মিসরের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত সেতুবন্ধন তৈরি করবে।’
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক শিক্ষা সেমিনারে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আল আজহারে গমনকে গৌরবান্বিত ঘটনা উল্লেখ করে মিসরের রাষ্ট্রদূত ওমর ফাহমি এসব কথা বলেন।
ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল আরকাম আল ইসলামিয়া ঢাকার ২৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থী এ বছর বৃত্তি নিয়ে মিসরের আল আজহারে পড়তে যাচ্ছেন। তাদের বিদায় উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্রুনাই দারুস-সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস ইবনে ওসমান বলেন, মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থার একটি স্তম্ভ; যা ইসলামি শিক্ষার সংরক্ষণ ও উন্নয়নে কাজ করছে। ব্রুনাইয়ের শিক্ষার্থীরাও আল-আজহার থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আল আজহারে পড়তে যাওয়া বেশ গুরুত্ববহন করে। আল আজহারে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মাদরাসার এসব শিক্ষার্থী ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক অন্যান্য জ্ঞানের সঙ্গেও পরিচিতি লাভ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে প্রবন্ধ পাঠ করেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ ও লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দিন আজহারী, দারুল আরকামের ভাইস প্রিন্সিপাল শিব্বির আহমাদ খান আজহারী ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির সহকারি অধ্যাপক শাহেদ হারুন আল আজহারী।
মিসর ও বাংলাদেশের ধর্মীয় শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর সেমিনারে পঠিত প্রবন্ধের ওপর বিশেষ আলোচনা করেন সাউথ-ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও আল হাইআতুল উলইয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি আল্লামা সাজিদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আফ্রিকা উইংসের মহাপরিচালক এ এফ এম জাহিদুল ইসলাম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া উইংসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান, ব্রুনাই দারুস-সালাম হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি রুজাইমি আব্দুল্লাহ, সিজেডএম-এর সিইও আইয়ুব মিয়া, শিক্ষাবিদ ড. আবুল কালাম আযাদ, ও ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির শিক্ষক ড. বেনাজদি ওরিদ্দিন আবদু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ঢাকার উত্তরাস্থ দারুল আরকাম আল-ইসলামিয়া থেকে পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় মিসরের আল আজহারে প্রতিবছর বৃত্তি নিয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে যান শিক্ষার্থীরা, সেখানে তারা ইসলামি ও অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে পড়াশেনা করেন।
এবারও প্রতিষ্ঠানটির ২৩ জন শিক্ষার্থী মিসরে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ লাভ করেন ।