আবারো ছোট্ট এক শিশুর সাফল্যগাথা, অসাধারণ কীর্তি। মাত্র ১০ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়ে বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে মো. শাহাবুদ্দীন শাওন নামের এক শিশু।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) ভোররাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র কোরআনের হেফজ সম্পন্ন করেছে ১০ বছরের এই মেধাবী শিশু।
মো. শাহাবুদ্দীন শাওনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার অষ্টগ্রাম নামক গ্রামে। তার বাবা মো. শামিম হোসেন।
রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় অবস্থিত কওমি মাদ্রাসা ‘মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা’র হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী শাওন। এই বিভাগ থেকেই সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে।
হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ আবু জর ও সহকারী শিক্ষক হাফেজ জোবায়ের আহমাদসহ প্রতিষ্ঠানটির সকল শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দীন শাওনের হিফজ সম্পন্ন হওয়ায় মহান আল্লাহতায়ালার দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায়ের পাশাপাশি বেশ উচ্ছ্বসিত।
এ প্রসঙ্গে ‘মারকাযুদ দিরাসাহ আল ইসলামিয়্যাহ ঢাকা’র পরিচালক মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী বলেন, ‘মো. শাহাবুদ্দীন শাওনের বাবা খেটে খাওয়া একজন মানুষ। খুব অল্প বয়সেই আমাদের এখানে শাওনকে ভর্তি করা হয়। শাওনের বাবা তার পড়াশোনার খরচ বহন করতে না পারায় আমরা মাদ্রাসার তরফ থেকে তার যাবতীয় খরচাদি বহন করছি, আলহামদুলিল্লাহ- সে আমাদের সবার সম্মান উজ্জ্বল করেছে এবং মাত্র ১০ বছর বয়সে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।’
মুফতি মামুন আব্দুল্লাহ কাসেমী শাওনসহ তার পরিচালিত মাদ্রাসা এবং সেখানকার সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে এই প্রতিষ্ঠানের অপর শিক্ষার্থী মেধাবী কিশোর মো. তামিম হাসান মাত্র ১১ বছর বয়সে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। ১৩ নভেম্বর ভোররাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র কোরআন হেফজ করে তামিম।