হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো আনন্দদায়ক সংবাদ শুনলে অথবা কোনো ভালো সংবাদ পেলে আল্লাহতায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য সিজদা করতেন। -সুনানে আবু দাউদ
হাদিসে আরও ইরশাদ হয়েছে, কোনো ভালো সংবাদ শ্রবণে কিংবা কোনো নেয়ামতপ্রাপ্ত হলে আল্লাহতায়ালার শোকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে সিজদা করা উত্তম। নবী করিম (সা.)-এর জীবনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিলো, আল্লাহতায়ালাকে ভয় পেয়ে নয় বরং তাকে ভালোবেসে ও তার অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নিমিত্তে সিজদা করা।
নবী শিক্ষার আলোকে মুমিন-মসুলমানরা কোনো খুশির খবরে কিংবা অর্জনে আল্লাহতায়ালার প্রতি সিজদা দিয়ে কৃতজ্ঞতা আদায় করেন। সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজার এক কিশোর আবদুল্লাহ আল হামস পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। কোরআন হিফজ শেষ কৃতজ্ঞতা আদায়ের জন্য সে মহান আল্লাহর দরবারে সিজদা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ফিলিস্তিনি ওই কোরআন হিফজের শেষ পাঠ তার বাবাকে শুনাচ্ছেন। পাঠ শেষ না হতেই আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
কিশোর আবদুল্লাহ সুরা বাকারা তেলাওয়াত করে পবিত্র কোরআন হিফজ শেষ করেন। এ সুরার শেষের আয়াতগুলো তেলাওয়াতকালে তিনি কান্না করে দেন। এরপর বাবাকে নিয়ে সে সিজদায় পড়ে যান। কোরআন হিফজ সম্পন্ন করে কৃতজ্ঞতায় মহান রবের সামনে বাবা ও সন্তানের সেজদার দৃশ্য সবার মনে তৈরি করে ভিন্ন এক অনুভূতি।
হাফেজ আবদুল্লাহ বলেন, ‘পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করা তার জীবনের সবচেয়ে ইচ্ছা ছিল। মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি, তিনি আমাকে স্বপ্নপূরণের সুযোগ দিয়েছেন। এরপর আমার বাবা-মা ও পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, তারা আমাকে সবসময় এ কাজে সহযোগিতা করেছেন।’
পবিত্র কোরআন হিফজ শেষ করার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। দীর্ঘ পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার পর শিশু-কিশোরদের অর্জন সত্যিই প্রশংসনীয়। তাই হিফজের শেষ মুহূর্তগুলো স্মরণীয় থাকে জীবনভর। এমনকি অনেকে এ অর্জনকে ঘিরে নানা ধরনের আয়োজনও করে থাকেন। আর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে হাফেজদের সম্মাননা পাগড়ি প্রদান করা হয়।