আফ্রিকার সবচেয়ে পশ্চিমের দেশ মরক্কো। সিআইএ দ্য ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুকের সর্বশেষ তথ্য মতে (জুলাই ২০২০), মরক্কোর মোট জনসংখ্যা তিন কোটি ৫৫ লাখ ৬১ হাজার ৬৫৪। রাজধানী রাবাত। আয়তন সাত লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার। দেশটির প্রধান ভাষা আরবি, তবে বারবার, ফ্রেঞ্চ ও স্প্যানিশ ভাষাও প্রচলিত। প্রধান ধর্ম ইসলাম এবং মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশ সুন্নি মুসলমান। দেশটিতে কোরআন শিক্ষাকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হয়। ছোটবেলায় ছেলে-মেয়েরা কোরআন শেখেন। মরক্কোতে প্রচুর কোরআনের হাফেজ রয়েছে।
কোরআন শিক্ষা ও চর্চাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় দেশটিতে। সম্প্রতি মরক্কোর এক কিশোর কারি সম্পূর্ণ কোরআন তেলাওয়াত করে তা রেকর্ড ও প্রকাশ করেছেন। ইয়াহইয়া সিদ্দিকি নামের ওই কারি কিশোর বয়সেই চমৎকার ও সুললিত কণ্ঠে কোরআরে কারিম তেলাওয়াতের জন্য মরক্কোতে বিশেষ পরিচিত পেয়েছেন। শৈশবেই বিস্ময়কর কোরআন প্রেম ও অসাধারণ কণ্ঠে তেলাওয়াতের কারণে ধর্মপ্রাণ মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছোটবেলা থেকেই ইয়াহইয়া কোরআন তেলাওয়াতের ক্ষেত্রে সৃজনশীল ছিলেন এবং বিভিন্ন পন্থার পাশাপাশি নতুন নতুন পন্থায় কোরআন তেলাওয়াতের চর্চা ও চেষ্টা করতেন। সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেছেন।
মরক্কোর কনিষ্ঠ এই কারি রেওয়ায়েতে নাফে ও রেওয়ায়েতে আসেম হতে হাফসসহ বিভিন্ন পন্থায় কোরআন তেলাওয়াত করতে সক্ষম। বিশ্বের বিখ্যাত কারি বিশেষ করে মুহাম্মাদ সিদ্দিক মানশাভি ও মাহমুদ খালিল হুসারির তেলাওয়াতও অনুকরণ করতে পারেন। এ কারণেই তিনি মরক্কোর জনগণের মধ্যে বিশেষ স্থান দখল করতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রতি রমজানে তিনি মরক্কোর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ‘সাওয়াদ আল ইখা’ অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন। এই অনুষ্ঠানে মরক্কোর প্রসিদ্ধ আলেম ও মুবাল্লিগ শায়খ সালমান আল আওদার বক্তব্যের আগে ইয়াহইয়া সিদ্দিকি কোরআন তেলাওয়াত করেন।
ইয়াহইয়া তার সুললিত কণ্ঠে কোরআন তেলাওয়াত করে তা রেকর্ডিং করেন এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলো তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে পোস্ট করতে থাকেন। ফেসবুকে ৪৩ হাজারের অধিক অনুসারী ইয়াহইয়া সিদ্দিকির তেলাওয়াতকে পছন্দ করে মতামত দিয়ে তাকে উৎসাহ দিয়েছে।
বর্তমানে মরক্কোর এই কিশোর কারির কোরআন তেলাওয়াত ‘আল মাজদ’ স্যাটেলাইট চ্যানেলে সম্প্রচার করা হয়।