অস্ট্রেলিয়া জুড়ে হাজার হাজার মানুষ ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সমর্থনে প্রতিবাদ জানিয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সতর্কতা জারি থাকলেও ব্রিসবেন, মেলবোর্ন, হোবার্ট, অ্যাডেলেইডসহ আরো কয়েকটি শহরে মিছিল বের করা হয়।
সিডনিতে শেষ মুহূর্তে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং স্বাস্থ্যবিধি ভাঙায় কয়েকজন আয়োজককে জরিমানা করা হয়।
মূলত পুলিশি হেফাজতে আফ্রিকান-আমেরিকান জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হলেও অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং প্রান্তীয়করণের কথাও তুলে ধরা হয়। কোনো কোনো ব্যানারে দেখা যায় মৃত্যুর আগে ফ্লয়েডের বলা কথা, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’। আবার কোনো ব্যানারে দেখা যায়, ‘গল্প এক, মাটি আলাদা’।
করোনাভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্বের আইন জারি থাকায় নিউ সাউথ ওয়েলসের সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার (৫ জুন) সিডনির আন্দোলনকে বেআইনি হিসেবে রুল জারি করে। আয়োজকরা মামলাটি রাজ্যের আপীল কোর্টে তুললে শনিবার নির্ধারিত কর্মসূচির ঠিক ১৫ মিনিট আগে কোর্ট নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ ছিল, ১০ জনের বেশি মানুষ একসাথে জমায়েত হতে পারবে না। কিন্তু এই আন্দোলনে অংশ নেয় প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
কোথাও বড় ধরনের কোন বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। তবে সন্ধ্যার দিকে সিডনির সেন্ট্রাল স্টেশনে পুলিশ পিপার স্প্রে করায় কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এসময় ২০ হাজার আন্দোলনকারীদের মধ্যে মাত্র তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।