করোনা প্রতিষেধক নিয়ে হু’র আশঙ্কা থাকলেও, আশাবাদী বিজ্ঞানীরা

ভারত, আন্তর্জাতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, কলকাতা | 2023-08-25 22:55:19

করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পেতে রাতদিন এক করে কাজ করছেন গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা।  কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাব্য টিকার ট্রায়ালও মানুষের শরীরে শুরু হয়ে গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের দিকে টিকা চলে আসতে পারে বাজারে। এমন আশার বাণীও শোনা যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে।

কিন্তু তার সঙ্গেই সামনে আসতে শুরু করেছে কিছু ভিন্ন মত। যেমনটা জানাচ্ছে লন্ডনের ইম্পিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক ডেভিড নেবারো। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনা সংক্রান্ত বিশেষ দূত।

নেবারোর আশঙ্কা, ‘প্রতিষেধক মিলবেই, একথা আমরা নিশ্চিত করে এখনি বলতে পারি না। এমন অনেক ভাইরাস আছে, যাদের টিকা বা প্রতিষেধক আজ পর্যন্ত মেলেনি।

নেবারোর এমন মন্তব্য নিশ্চিতভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে।

তবে মন্তব্যের সপক্ষে বেশ কিছু উদাহরণও তুলে ধরেছেন তিনি। এই বিজ্ঞানীর মতে, শুরুর দিকে মনে হয়েছিল এইচআইভি-র টিকা শীঘ্রই মিলবে। কিন্তু প্রায় চারদশকে এই ভাইরাস ৩ কোটি ২০ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়েছে। তা সত্ত্বেও মেলেনি কোনও জীবনদায়ী টিকা। মেলেনি ডেঙ্গুর কোনও কার্যকরি টিকা।

এইসব উদাহরণ টেনে নেবারো বলছেন, করোনাভাইরাসকেও নিরন্তর মোকাবিলা করে চলার জন্য তৈরি থাকতে হতে পারে বিশ্বকে।

এদিকে ভাইরাস মোকাবিলায় অ্যান্টিবডি তৈরি করে ফেলেছে বলে দাবি করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট। তাঁর দাবি, দেশের প্রধান জৈব গবেষণা কেন্দ্রে এই অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে। এমনকি রোগীর শরীরে প্রয়োগের পর তাতে কাজও হচ্ছে। এই আবিষ্কার করোনাভাইরাসের ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে বড় সাফল্য হয়ে উঠতে পারে। এটির পেটেন্ট নেওয়ার উদ্যোগ শুরু হয়েছে।

ফলে বোঝাই যাচ্ছে নেবারো যাই বলুক, অধিকাংশ বিজ্ঞানী আশা ছাড়তে নারাজ। যেমন-ব্রিটেনের ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর ডিরেক্টর অ্যান্টনি ফাউচি। তাঁর বক্তব্য, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যেই মিলে যাবে করোনার প্রতিষেধক।

এছাড়া, ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবডির হদিস মিলেছে বলে দাবি করেছে ইউত্রেখত বিশ্ববিদ্যালয়ও। নেদারল্যান্ডসের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেরেন্ড ইয়ান বশ বলেন, গবেষণাগারে এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করা হয়েছে, যা করোনাভাইরাসকে শেষ করতে পারে। যদিও এই গবেষণা এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে পরীক্ষাগারে ভাইরাসের উপর এর প্রয়োগ সাফলতা পেয়েছে।

অন্যদিকে, আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক গবেষক কমলেশ সিংয়ের দাবি, রেমডেসিভির, রিবাভিরিন, ৫-ফ্লোরোরাসিল ও ফাভিপিরাভির (জেনেরিক নাম) চারটি মেডিসিনই করোনার চিকিৎসায় ভালোই সাড়া দিচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর