ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বাংলাদেশে তাদের সব ধরনের কার্যক্রম ও প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারি করার পরপরই বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে এ ধরনের প্রায় সব সহায়তা স্থগিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন দেশে ইউএসএআইডি পরিচালিত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ এবং তাদের চুক্তির অধীনে অতিরিক্ত খরচ বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে নতুন সহায়তা স্থগিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএসএআইডির ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র জোরালো বন্ধুত্ব বজায় রেখে আসছে। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় কৌশলগত অংশীদার হিসেবে স্বীকার করে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিও অভিন্ন স্বার্থ থেকে নির্ধারিত হয়।
ইউএসএআইডির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির কর্মসূচি এশিয়ায় বৃহত্তম। এই কর্মসূচিতে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য কর্মসূচির পাশাপাশি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্র ও সুশাসন, মৌলিক শিক্ষা এবং পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ও আছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বড় ধরনের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম দেখভাল করে। ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার পথে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ইউএসএআইডি অনেক পুরনো অংশীদার হিসেবে আছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সব কূটনৈতিক পোস্টে একটি তারবার্তা পাঠিয়েছেন, যে বার্তার কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) বৈশ্বিক কর্মসূচির জন্য কোটি কোটি ডলারের তহবিল হুমকির মুখে পড়েছে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ জারি যুক্তরাষ্ট্রে ‘বৈদেশিক সাহায্য নীতি’ পুনর্বিন্যাস করার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে।
ইউএসএআইডি’র বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাহী আদেশের কারণে চলমান ইউএসএআইডি অ্যাওয়ার্ডের ডিইআইএ (DEIA) প্রকল্পের সব ধরনের কার্যকম বন্ধ হয়ে যাবে।
এদিকে নির্বাহী আদেশে ট্রাম্প দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশি সহায়তা ব্যবস্থা ও আমলাতন্ত্র আমেরিকান স্বার্থের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এবং অনেক ক্ষেত্রেই আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থি।
তবে এক কর্মকর্তা বলছেন, স্থগিতের নিশানায় পড়া বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সহায়তা কর্মসূচিগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রয়েছে। এসব কর্মসূচি দ্বিপক্ষীয় সমর্থন পেয়ে আসছিল।