ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এ ঘটনায় নয়জন নিখোঁজ রয়েছে। শত শত উদ্ধারকারী ঘন কাদা ও ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের খুঁজে বের করার জন্য অনুসন্ধান করছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) মধ্য জাভা প্রদেশের পেকালোঙ্গান শহরের কাছে একটি পাহাড়ি এলাকায় তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। খবর আল জাজিরা।
অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা বাসার্নাস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে মৃতের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, এ ঘটনায় ১৮ জনের প্রাণহানী, নয়জন নিখোঁজ এবং আহত হয়েছেন ১৩ জন। ভূমিধসের কারণে সেতু ধসে পড়ে এবং গাড়ি ও ঘরবাড়ি চাপা পড়ে।
স্থানীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউলিয়ান আকবর বলেন, আরও একটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, মৃতের সংখ্যা এখন ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
আকবর বলেন, অনুসন্ধান দলের জন্য রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রায় ২০০ উদ্ধারকর্মীকে সাহায্যের জন্য পাঠানো হয়েছে।নিহতদের বা ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান করাই আমাদের লক্ষ্য। স্থানীয় সরকার দুই সপ্তাহের জন্য জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ইন্দোনেশিয়া বর্ষাকালে, সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে ভূমিধসের ঝুঁকিতে থাকে। নভেম্বর মাসে, পশ্চিম ইন্দোনেশিয়ায় তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ২৭ জন প্রাণ হারায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট কিছু দুর্যোগ মৌসুমের বাইরেও ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝড়ের তীব্রতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে ভারী বৃষ্টিপাত, আকস্মিক বন্যা এবং শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশটিতে গত বছরের মে মাসে, পশ্চিম সুমাত্রায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ৬৭ জন মারা যায়। মারাপি পর্বতের অগ্ন্যুৎপাত থেকে ছাই, বালি এবং নুড়িপাথরের মিশ্রণ আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।