যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় যে পদ্ধতিতে

, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-10-28 11:35:04

আমাদের দেশে যেভাব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, ঠিক সেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না। আমাদের দেশে সাধারণ ভোটারের ভোটে যিনি সর্বাধিক ভোট পান তিনিই নির্বাচিত হয়ে থাকেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ধারণায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় না।

১৭৮৭ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান যখন লেখা হচ্ছিল, তখন বিশালাকার দেশটিতে যোগাযোগের অভাবের ফলে জাতীয় স্তরে সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা কার্যত অসম্ভব ছিল।

এ সময় সংবিধান রচয়িতারা নির্বাচনরে জন্য ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।

সংবিধান প্রণেতারা ১৭৮৭ সালে সংবিধান রচনার সময় কংগ্রেস এবং জনগণের সরাসরি ভোটে (পপুলার ভোট) প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুটো ধারণাই বাতিল করে দেন। 

তাদের যুক্তি ছিল ‘পপুলার ভোট’-এ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে লোকেরা তাদের স্থানীয় প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তার ফলে বড় রাজ্যগুলো আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করবে। ছোট ছোট রাজ্যগুলো এই ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ পদ্ধতিকে সমর্থন করে। কারণ, এর ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো এই পদ্ধতির পক্ষ নেয়। কারণ, সেসময় এসব রাজ্যে দাসের সংখ্যা ছিল অনেক। দাসদের ভোটাধিকার না থাকা সত্ত্বেও আদম শুমারিতে তাদের গণনা করা হতো।

এছাড়াও সংবিধান রচয়িতারা চাননি যে, রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বসে শুধু আইন প্রণেতারা দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করুক।

মার্কিন নির্বাচন প্রক্রিয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট নেওয়া হবে চলতি বছরের ৫ নভেম্বর। এ নির্বাচনে যে প্রার্থী সব থেকে বেশি ভোট পাবেন, তিনি বিজয়ী হবেন, এমন নিশ্চয়তা নেই। এর কারণ ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। তারা ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ পদ্ধতির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ কী

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা যখন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেবেন, বেশির ভাগই হয় ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস অথবা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।

তবে এদের দুজনের মধ্যে কে জয়ী হবেন, সেটা ভোটারদের দেওয়া ভোটে সরাসরি নির্ধারিত হবে না। জাতীয় স্তরের নির্বাচনি লড়াইয়ের বদলে জয়ী-পরাজিত নির্ধারিত হবে, একেকটি অঙ্গরাজ্যের নির্বাচনি লড়াইয়ের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের একটিতে জয়ী হওয়ার অর্থ একজন প্রার্থী সেই অঙ্গরাজ্যের সবকটি ‘ইলেক্টোরাল কলেজ’ ভোট পেয়ে যাবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকটোরাল কলেজের মোট ভোটের সংখ্যা ৫৩৮। ‘মাইন’ ও ‘নেব্রাসকা’ এই দুটো অঙ্গরাজ্য বাদে বাকি সবগুলো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট যোগ দিলে যে প্রার্থী ২৭০ বা তারও বেশি ভোট পাবেন, তিনিই প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

কীভাবে কাজ করে ইলেক্টোরাল কলেজ

প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকটি করে ইলেক্টোরাল ভোট থাকে, যা ওই অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যার মোটামুটিভাবে সমানুপাতিক হয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার হাতে সর্বাধিক ৫৪টি এবং ভায়োমিং, আলাস্কা এবং নর্থ ডাকোটা (এবং ওয়াশিংটন ডিসি)-র মতো যেসব অঙ্গরাজ্যের জনসংখ্যা খুবই কম, তাদের হাতে অন্তত ৩টি ইলেক্টোরাল ভোট আছে।

সাধারণত, অঙ্গরাজ্যগুলো তাদের হাতে থাকা ইলেক্টোরাল ভোট সেই প্রার্থীকেই দেয়, যিনি ওই অঙ্গরাজ্যের ভোটারদের সরাসরি ভোটে জয়ী হয়েছেন।

ধরা যাক, টেক্সাসে একজন প্রার্থী ভোটারদের সরাসরি ভোটের ৫০.১ শতাংশ পেয়েছেন, তাকে ওই অঙ্গরাজ্যের হাতে থাকা ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোটের সবগুলিই সেই প্রার্থী পেয়ে যাবেন। একটি অঙ্গরাজ্যে জয়ের ব্যবধান যদি বিরাট হয়ও, তাহলেও জয়ী প্রার্থী অতগুলি ইলেক্টোরাল ভোটই পাবেন।

দেশব্যাপী সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েও কি কেউ পরাজিত হতে পারেন

হ্যাঁ, সেটা সম্ভব। একজন প্রার্থী সারাদেশে হয়ত কম ভোট পেয়েছেন কিন্তু বেশ কতগুলো কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়ে একজন প্রেসিডেন্ট হয়ে যেতে পারেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালে হিলারি ক্লিনটনের থেকে প্রায় ৩০ লাখ কম ভোট পেয়েও হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন।
জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০০ সালে আল গোরকে পরাজিত করেছিলেন। যদিও সাধারণ ভোটে তার জয়ের ব্যবধান ছিল ৫ লাখেরও বেশি।

ওই দুজনের আগে আর মাত্র ৩ জন সাধারণ ভোটে না জিতেও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তবে সেগুলো উনবিংশ শতাব্দীর ঘটনা।

একেক রাজ্যের হাতে একেক সংখ্যক ভোট থাকার কারণে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনি প্রচারণার ব্যাপারে এমনভাবে ছক তৈরি করেন, যেখানে তারা বেশি ভোট আছে, এমন রাজ্যগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।

ইলেক্টোরাল কলেজ কেন বলা হয়

‘কলেজ’ শব্দটির অর্থ এখানে সেই ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা একটি অঙ্গরাজ্যের ভোট দেওয়ার অধিকারী।

অন্যদিকে, ‘ইলেকটোরাল কলেজ’ হচ্ছে, কর্মকর্তাদের একটি প্যানেল, যাদের ‘ইলেকটরস্’ বলা হয়। এরা এক কথায় নির্বাচকমণ্ডলী।

প্রতি ৪ বছর পর পর এটি গঠন করা হয় এবং এরাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টকে বাছাই করেন।
কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বের অনুপাতে প্রতিটি স্টেটের ইলেকটরসের সংখ্যা নির্ধারিত হয়, যা নির্ধারিত হয় স্টেটে সিনেটরের সংখ্যা (প্রত্যেক স্টেটে দুইজন) এবং প্রতিনিধি পরিষদে প্রতিনিধির (যা জনসংখ্যার অনুপাতে) যোগফল মিলে।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি অনুযায়ী, যেসব রাজ্যে জনসংখ্যা বেশি, সেসব রাজ্যে ইলেক্টোরাল ভোটও বেশি। এই প্রথা শুধুমাত্র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্যই ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্য সব নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয় সরাসরি মানুষের ভোটেই।

যে প্রার্থী অঙ্গরাজ্যে জয়ী হবেন, তাকেই কী ভোট দিতে বাধ্য নির্বাচকেরা

কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে নির্বাচকদের আইনগতভাবে সেই স্বাধীনতা আছে যে, সাধারণ ভোটাররা কাকে পছন্দ করেছেন, তার ওপরে নির্ভর না করে নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।

তবে প্রকৃতপক্ষে দেখা যায় যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেয়েছেন যে প্রার্থী, তাকেই নির্বাচকেরা তারা ভোট দিয়েছেন।

অঙ্গরাজ্য থেকে যাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো নির্বাচক ভোট দেন, তাকে ‘ফেইথলেস’ বা ‘অবিশ্বাসী’ বলা হয়।
এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে এভাবেই ৭টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ‘ফেইথলেস’ নির্বাচকদের জরিমানা করা বা মামলা দেওয়া হতে পারে।

ইলেক্টোরাল ভোটে ‘টাই’ হলে কী হবে

কোনো ক্ষেত্রে যদি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা কেউ না পান, সেক্ষেত্রে মার্কিন আইন সভার নিম্ন-কক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে।

এই ঘটনা মাত্র একবারই হয়েছে ১৮২৪ সালে। ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট ৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায় কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। বর্তমানে অবশ্য রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টি দুটির যে আধিপত্য রয়েছে, তাতে ওইরকম ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতি কেন বেছে নেওয়া হয়েছিল

ইলেক্টোরাল কলেজ ব্যবস্থার সবল দিক

এই পদ্ধতির সুবিধাগুলো হলো- ছোট অঙ্গরাজ্যগুলি প্রার্থীদের কাছে গুরুত্ব পায়; প্রার্থীদের গোটা দেশ ঘোরার দরকার হয় না, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গরাজ্যগুলির প্রতি নজর দিলেই চলে; পুনর্গণনা সহজতর। কারণ, কর্মকর্তারা একটি অঙ্গরাজ্যের সমস্যা সহজে চিহ্নিত করতে পারেন।

দুর্বল দিক

সাধারণ মানুষের ভোটে জয়ী প্রার্থীও নির্বাচনে হেরে জেতে পারেন; ভোটারদের একাংশের মনে হয় যে, তাদের ব্যক্তিগত ভোটের কোনো মূল্য নেই; কথিত ‘সুইং স্টেট’গুলির হাতে অত্যধিক ক্ষমতা।

‘সুইং স্টেট’ কোনগুলো

বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় ‘রেড স্টেট’ বা ‘লাল রাজ্য’ আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ‘ব্লু স্টেট’ বা ‘নীল রাজ্য’।

ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতেগোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে. যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোনো শিবিরে চলে যেতে পারে।

ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু ‘সুইং স্টেট-এর দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোনো পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এটাই হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ‘ব্যাটলগ্রাউন্ড’ বা ‘নির্বাচনি রণক্ষেত্র’। এগুলোকেই অনেকে বলে থাকেন 'বেগুনি রাজ্য'।

প্রার্থীদের কাছে এসব অঙ্গরাজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়, যেগুলোকে বলা হয় ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেট বা নির্বাচনি রণক্ষেত্র। আর এই অঙ্গরাজ্যগুলোর ভোটই শেষ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায় জয়-পরাজয়ের মূল চাবিকাঠি। এই রাজ্যগুলোতেই হয় মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

অ্যারিজোনা, জর্জিয়া, মিশিগান, নেভাডা, পেনসিলভেনিয়া এবং উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যগুলি ২০১৬ সালে এভাবেই ‘ব্যাটল-গ্রাউন্ড স্টেট’ হয়ে উঠেছিল।

প্রত্যেক নির্বাচনের সময় দেখা গেছে, যেসব রাজ্যের ভোট বেশি, প্রার্থীরা সেসব রাজ্যে নির্বাচনি প্রচারণার পেছনে অনেক বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় করে থাকেন।

ভুয়া নির্বাচক কারা

যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা ২০২০ সালে ‘ভুয়া নির্বাচক’ শব্দটার সঙ্গে প্রথমবার পরিচিত হন। সেই বছর ট্রাম্পপন্থি রিপাবলিকানরা ৭টি অঙ্গরাজ্যে নিজেদের ‘নির্বাচক’ তৈরি করেছিলেন, যাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘুরিয়ে দেওয়া যায়।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা সরকারি নথির মতো দেখতে ভুয়া নথি বানিয়ে, তাতে সই করিয়ে ১৪ ডিসেম্বর অঙ্গরাজ্যের রাজধানীগুলিতে হাজির হয়ে যান। ওইদিনই গোটা দেশের নির্বাচকরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট দিয়েছিলেন। এই জালিয়াতিতে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।

নির্বাচনের উল্লেখযোগ্য কিছু ইতিহাস

২০১৬: রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩শ ৬টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, যদিও তিনি ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের চেয়ে প্রায় ৩০ লাখ ভোট কম পেয়েছিলেন।

২০০০: রিপাবলিকান প্রার্থী জর্জ ডব্লিউ বুশ ২শ ৭১টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যদিও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অ্যাল গোর ৫ লাখ ৪০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

১৮৮৮: রিপাবলিকান প্রার্থী বেঞ্জামিন হ্যারিসন ২শ ৩৩টি ইলেক্টোরা ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। যদিও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড ১ লাখ ৪শ ৫৬ ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

১৮৭৬: রিপাবলিকান রাদারফোর্ড বি হেইজ ১শ ৮৫টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন কিন্তু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী স্যামুয়েল জে টিলডেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ভোট বেশি পেয়েছিলেন।

১৮২৪: ইলেক্টোরাল কলেজ ৪ জন প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে হাউস জন কুইন্সি অ্যাডামসকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে, যদিও অ্যান্ড্রু জ্যাকসন তার চেয়েও বেশি পপুলার ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছিলেন।

-বিবিসি বাংলা অবলম্বনে

এ সম্পর্কিত আরও খবর