সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার।
সোমবার (৭ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গত ২৬ জুলাই নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পদচ্যুত করে সামরিক জান্তা। পরে দেশটির ক্ষমতা গ্রহণ করেন অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেনশিয়াল গার্ডের প্রধান আবদোরাহমানে চিয়ানি। কিন্তু রোববারের মধ্যে বাজেমকে পুনর্ববহালের আলটিমেটাম দেয় পশ্চিম আফ্রিকান নেতারা। এজন্য প্রয়োজনে নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপেরও হুমকি দেন তারা। তাই সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের আশঙ্কায় দেশটির আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে জান্তা সরকার।
জান্তা সরকারের মুখপাত্র কর্নেল আমাদৌ আবদ্রামানে আকাশপথ বন্ধের জন্য পশ্চিম আফ্রিকার ১৫ সদস্যের জোট ইকোয়াসের সামরিক হস্তক্ষেপের হুমকিকে উদ্ধৃত করে বলেছেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইজারের আকাশসীমা বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, নাইজারের সশস্ত্র বাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জনগণের অবিচ্ছিন্ন সমর্থন রয়েছে। তাই আমাদের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা প্রস্তুত।
এদিকে, অভ্যুত্থানের সমর্থনে রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানী নিয়ামির একটি স্টেডিয়ামে জড়ো হয়ে মিছিল করেন হাজার হাজার মানুষ। তারা ফ্রান্সবিরোধী ও রাশিয়ার পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন। ফ্রান্সকে ‘ঔপনিবেশিক’ হিসেবেও গালাগাল করেন অনেকে।
জান্তার পক্ষে রাস্তায় নামা সাধারণ মানুষের একজন হলেন ইয়েইয়ে ইউসুফু। তিনি দাবি করেছেন, ফ্রান্স নাইজারকে শুধু শোষণ করেছে। তাদের জন্য কিছুই করেনি।
তিনি বলেছেন, ফ্রান্স গত ৬৩ বছর ধরে আমাদের দেশে ইউরোনিয়াম আহরণ করছে। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে এমন একটি ড্যাম নাইজারে নেই।
তিনি আরও বলেছেন, যেভাবে সামরিক শাসকরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে. আমাদের আশা আছে তারা নাইজারের অবস্থা পরিবর্তন করবে।
নাইজারের এ অভ্যুত্থানটি ২০২০ সাল থেকে আফ্রিকায় পঞ্চম অভ্যুত্থান। নাইজারের মতো মালি, গিনি, বুরকিনা ফাসো এবং চাদেও একইভাবে ক্ষমতা দখল করেছে সামরিক জান্তা।