ইসলামি পরিবেশ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত আফগানিস্তানের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে তালেবানের নিযুক্ত নতুন ভাইস চ্যান্সেলর মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাত সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেন।
মোহাম্মদ আশরাফ ঘাইরাত তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে বলেন, যতক্ষণ না প্রকৃত ইসলামি পরিবেশ তৈরি না হবে নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বা কাজ করতে দেওয়া হবে না। এসময় তিনি বলেন, প্রথমে ইসলাম।
এর আগে পশতু ভাষায় কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভাইস চ্যান্সেলর টুইট করেছিলেন যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীদের শিক্ষাদানের জন্য একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে কিন্তু কবে নাগাদ এই পরিকল্পনা সম্পন্ন হবে তা বলেনি।
ঘাইরাত আরও বলেন, নারী প্রভাষকের স্বল্পতার কারণে পুরুষ প্রভাষকদের পর্দার পেছন থেকে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এভাবে ছাত্রীদের শিক্ষার জন্য একটি ইসলামি পরিবেশ তৈরি হবে।
কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আশরাফ ঘাইরাতকে নিয়োগ দেওয়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তাঁর যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। টুইটারে এসব সমালোচনার জবাবে ঘাইরাত বলেন, উপাচার্য পদের জন্য নিজেকে সম্পূর্ণ যোগ্য বলেই দেখেন তিনি।
তিনি মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানের জন্য তার দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরেন এবং বলেন, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হল ‘বিশ্বের সকল প্রকৃত মুসলমানদের সমবেত করে গবেষণা ও পড়াশোনা করা। এবং আধুনিক বিজ্ঞানকে ইসলামিকীকরণ করা।
তিনি টুইটারে লিখেছেন, আমি ঘোষণা করছি যে আমরা সত্যিকারের ইসলামি পরিবেশ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য মুসলিমপন্থী পণ্ডিত ও ছাত্রদের স্বাগত জানাব।