আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নারী চাকরিজীবীদের বাড়িতে থাকার নতুন নির্দেশনা দিয়েছে তালেবান।
রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাবুলের মেয়র হামদুল্লাহ নোমান বলেন, কিছু সময়ের জন্য নারীদের কাজ বন্ধ করা প্রয়োজন বলে মনে করে তালেবানরা।
যা আফগানিস্তানের নারীদের ওপর দেশটির কট্টর নতুন ইসলামপন্থী সরকার কর্তৃক আরোপিত সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞা।
নব্বইর দশকেও তালেবান ক্ষমতায় থাকাকালে নারীদের শিক্ষা এবং কর্মস্থলে যেতে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর তালেবান বলেছিল যে ইসলামী আইনের কাঠামোর মধ্যে নারীর অধিকারকে সম্মান করা হবে। তবে তা হবে শরিয়াহ আইনের মধ্যে থেকে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে কর্মরত নারীদের দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারে কোনও নারী সদস্য রাখেনি তালেবান। এর প্রতিবাদ জানিয়ে কাবুলসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেন আফগান নারীরা। এ সময় নারীদের ওপর চড়াও হন তালেবান সদস্যরা।
তালেবান সরকার দেশটির নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে এবং এটিকে নীতিনৈতিকতাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদল করছে তারা। একসময় এ মন্ত্রণালয় কট্টর ধর্মীয় মতাদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করেছিল।
১৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশটির স্কুল খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে তালেবানরা ছেলেদের স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দিলেও মেয়েদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানায়নি। তালেবান বলেছে, তারা মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে কাজ করছে।
কাবুল মেয়রের মতে পৌরসভার ৩ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ নারী। তিনি বলেন, কেউ কেউ কাজ চালিয়ে যাবে ।
তিনি বলেন, মহিলাদের টয়লেটে কাজ করা নারীরা কাজ চালিয়ে যাবে । কারণ সেখানে তো আর পুরুষরা যেতে পারবে না।
রোববার নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিক্ষোভ করেছে নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা একটি সংগঠন।
মন্ত্রণালয়ে বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, আমরা চাই না যে এই মন্ত্রণালয়টি বিলুপ্ত করা হোক।
আফগানিস্তানের মানবাধিকার কমিশন বলেছে যে তালেবানদের অধিগ্রহণের পর থেকে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।
সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, তাদের ভবন, যানবাহন এবং কম্পিউটার সবই তালেবানরা দখল করে নিয়েছে।