অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে তিনি এই টিকা নেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়ার বিষয়টি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে অস্ট্রেলিয়ায় সরকারিভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে এবং আগামী সপ্তাহের মধ্যেই অন্তত ৬০ হাজার ডোজ দেওয়া যাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেনসহ কয়েকটি শহরে কয়েক হাজার লোক টিকাদান কর্মসূচি বিরোধী বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
মরিসন কয়েকজন ফ্রন্টলাইন স্বাস্থ্যকর্মী এবং কেয়ার হোম বাসিন্দাদের সাথে রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) এই টিকা নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নার্স প্রফেসর অ্যালিসন ম্যাকমিলান ও প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রফেসর পল ক্যালিও এ দলের অংশ ছিলেন।
দেশটির প্রথম টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলেন ৮৫ বছর বয়সী জেন মালিসিয়াক।
অস্ট্রেলিয়ায় ফাইজারের টিকা ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচিতে এই টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে।
টিকা দেওয়ার আগে মরিসন বলেন, আগামীকাল সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আমাদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। আজ টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হলো। তিনি বলেন, ফাইজারের টিকা নিরাপদ, যা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা নিয়ন্ত্রক সংস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে এ সপ্তাহের শুরুতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে, যা আগামী মাসেই চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানিয়েছেন, আসছে সপ্তাহগুলোতে তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাটি নিবেন।