উড়োজাহাজ চলমান থাকাকালীন প্রতিটি মুহূর্ত কাটাতে হয় সচেতনভাবে। তবুও কখনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তবে কীভাবে বাঁচা সম্ভব। এক বাক্যে বলতে গেলে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি আপনার হাতে থাকে না। তারপরেও কথায় বলে, ‘সাবধানতার মার নেই।’
২০১৫ সালে প্রভাবশালী সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনের একটি পরিসংখ্যান প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে কয়েক বছরের তথ্য ঘেঁটে দেখানো হয়েছিল, উড়োজাহাজের কোন দিকের আসনে বসলে দুর্ঘটনার পরেও মৃত্যুর হার কম থাকে।
১৯৮৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত উড়োজাহাজ তথ্য ঘেঁটে পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, প্লেনের একদম পিছনের দিকের আসনে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩২ শতাংশ, মাঝের আসনগুলোতে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৯ শতাংশ এবং সামনের দিকের আসনে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৩৮ শতাংশ। অর্থাৎ, পিছনের দিকের আসনগুলোতে মৃত্যুর সম্ভাবনা তুলনামূলক কম।
তবে পরিসংখ্যান বলছে, পিছনের দিকের মাঝের আসনগুলোতে মৃত্যুর সম্ভাবনা সবচেয়ে কম— ২৮ শতাংশ।
সম্প্রতি কাজাখস্তানে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার পর যে সব ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজের বেশিরভাগ অংশই ক্ষতিগ্রস্ত। তবে পিছনের দিকের অংশটি অক্ষত রয়েছে। সেখান থেকে কিছু যাত্রীকে বার করে আনতেও দেখা গিয়েছে উদ্ধারকারীদের।
আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের দাবি, তাদের কর্মীদের তৎপরতাতেই ২৯ জনের প্রাণ বেঁচেছে। দুর্ঘটনা আঁচ করে যাত্রীদের বিমানের পিছনে তুলনামূলক নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাই অনেককে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যদিও অনেকেই মেনে নিচ্ছেন, দুর্ঘটনার অভিঘাত আরও মারাত্মক হলে উড়োজাহাজ পিছনের আসনে বসলেও কাউকে বাঁচানো যেত না।