কানাডা ও আমেরিকায় বাংলার রূপকথা ‘কাজলরেখা’
বিভিন্ন দেশের সিনেমায় তাদের রূপকথা গল্প আমরা দেখে থাকি। কিন্তু বাংলার রূপকথা নিয়ে সেভাবে কাজ হয়নি। অবশেষে সেই কাজটিই করে দেখিয়েছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ঈদুল ফিতরে বাংলাদেশের দর্শক সেই ‘কাজলরেখা’ বড়পর্দায় দেখার সুযোগ পেয়েছেন। যারা দেখেছেন, তাদের বেশিরভাগই প্রশংসা করেছেন নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের।
তারকাবহুল সেই রূপকথানির্ভর সিনেমাটিকে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো নিয়ে গেলেন কানাডা ও আমেরিকার বড় পর্দায়। আগামীকাল (৩১ মে) থেকে সিনেমাটি চলবে কানাডার আট ও আমেরিকার সতেরো প্রেক্ষাগৃহে। হলিউড ও বলিউডের সিনেমার চাপে প্রথম সপ্তাহে সীমিত থিয়েটারে মুক্তি পেলেও পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে আরো থিয়েটার যোগ হতে পারে বলে আশাবাদী আন্তর্জাতিক পরিবেশক স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব।
গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’র অন্যতম আকর্ষণ সিনেমার দুই ডজন গান। সংগীত পরিচালনায় সময়ের জনপ্রিয় ইমন চৌধুরী। এ সিনেমায় কাজলরেখা চরিত্রে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান ও মন্দিরা চক্রবর্তী।
সুচকুমার চরিত্রে শরীফুল রাজ উত্তর আমেরিকার দর্শকদের কাছে ‘হাওয়া’ ও ‘পরান’ সিনেমার কারণে প্রিয় হয়ে উঠছেন।
কাঙ্কনদাসী চরিত্রে দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা অনবদ্য অভিনয় করেছেন। আরো আছেন আজাদ আবুল কালাম, ইরেশ যাকের, খায়রুল বাসারসহ অনেকেই।
যারা প্রবাসে থাকেন বহু ভাষার ও সংস্কৃতির মাঝে নিজের দেশকে খোঁজেন। কাজলরেখা তাদের মাঝে সাড়া জাগাতে পারে। মুক্তির আগেই তাদের মাঝে বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। টাইমস স্কয়ারে প্রদর্শিত হয়েছে এই সিনেমার প্রমো। চলছে পোস্টারিং, পত্রিকার বিজ্ঞাপনসহ নানা প্রচারণা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের পরে থিয়েট্রিকালি দেশীয় সিনেমার বড় বাজার উত্তর আমেরিকার বাজার। এ বাজারে ‘হাওয়া’ সাড়ে তিনশো হাজার ডলারের গ্রস করে উত্তর আমেরিকার টপচার্টেও সাড়া ফেলেছিলো।