‘মনপুরা’ নির্মাণের প্রায় একদশক বিরতির পর ‘স্বপ্নজাল’ নির্মাণ করে স্বরূপে ফিরে এসেছেন নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ইতিমধ্যেই শেষ করেছেন তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘পাপ-পূন্য’। ব্রাক্ষনবাড়িয়া ও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন লোকেশনে চতুর্থ চলচ্চিত্র ‘গুনিন’-এর শুটিংপর্ব শেষ করে ফিরলেন রোববার। তার সঙ্গে কিছুক্ষণ..
অভিনন্দন! ‘গুনিন’-এর শুটিং-পর্ব কেমন হলো?
শুটিং ভালো হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ি শুটিং শেষ করতে পেরেছি আমরা
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কেমন করলেন?
পুরো টিমসহ-যারা অভিনয় করেছেন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গা থেকে ভালো করেছেন।
মুক্তির পরিকল্পনা?
চেষ্টা করবো, নতুন বছরের ছবি হিসেবে ‘গুনিন’কে মুক্তি দিতে।
‘গুনিন’-এর দর্শনগত জায়গাটা কী?
‘গুনিন’ আমাদের অন্তঃজ শ্রেণির গল্প। হাসান আজিজুল হকের একটি ছোট গল্প এটি। যা পড়ে আমি সিনেমার চিত্রনাট্য করি। এটার মূল অনেক কিছু বিষয় আছে, আমাদের আদিম গ্রাম সমাজ, আমাদের মানুষের যে মনস্তত্ব-এই পূর্ববঙ্গের, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি, প্রেম-প্রতারণা এবং কিছুটা রহস্যও পাওয়া যাবে।
প্রচলিত অর্থে ‘নন-গ্ল্যামারাস’ লুকেই তবে হাজির হচ্ছেন আপনার চরিত্ররা..
গ্ল্যামার-নন গ্ল্যামার জিনিসটাই আমি বুঝি না। যে চরিত্র- তাতে যে মানুষটা তার অর্থনৈতিক অবস্থা বা ওর পারিপার্শ্বিকতা ওর কৃষ্টি, কালচার সংস্কৃতি এসবের উপর আসলে ওর চেহারা-সুরত কিংবা কাপড়-চোপড় নির্ভর করে। গল্প যে ভঙ্গির এখানকার চরিত্রদের লুকও সেই ভঙ্গির। এটা গ্ল্যামার কি নন গ্ল্যামার এই হিসেব আমি জানি না।
শোনা যাচ্ছে কোন একটি স্ট্রিমিং প্লাটফর্মের জন্য চলচ্চিত্রটি নির্মিত হচ্ছে...
‘গুনিন’ সিনেমা হলে যাবে, এটি ফুল লেন্থ ফিচার ফিল্ম। তারপর কোন একটা স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে যাবে। চরকি-এটার প্রডিউসার। এটা আমার চতুর্থ সিনেমা।
তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘পাপ-পূন্য’ কবে মুক্তি পাবে?
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান যতদূর জানিয়েছে, তারা ডিসেম্বরে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরিকল্পনা করছে।