স্ট্রোকে ‘অ্যাসপিরিন’ সেবন নিরাপদ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মস্তিষ্কে রক্তপাতজনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ সেবন নিরাপদ বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এসব রোগীদের অ্যাসপিরিন সেবন করলে হার্ট অ্যাটাক ও নতুন করে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। নতুন এক গবেষণায় এ মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  

বিশ্বখ্যাত মেডিকেল সাময়িকীতে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে  বলা হয়েছে, এতদিন মস্তিষ্কে রক্তপাতজনিত স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের অ্যাসপিরিন সেবনের পরামর্শ দিতে সাবধানতা অবলম্বন করতেন চিকিৎসকরা। তাদের ধারণা ছিল এটা সেবন করলে রোগীদের মস্তিষ্কে রক্তপাতের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু  ল্যানসেটে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, অ্যাসপিরিনের ব্যবহার নতুন করে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় না, বরং এটি কমিয়ে আনে। তবে এ নিয়ে আরও অধিকতর গবেষণা দরকার বলে মত দিয়েছেন তারা। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবলমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যাবে এ ওষুধ।

বিজ্ঞাপন

অ্যাসপিরিন সাধারণত ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবে অধিক পরিচিত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে জ্বর কমিয়ে আনতেও সেবন করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রতিদিন নিম্নমাত্রার (৭৫ এমজি) অ্যাসপিরিনের ব্যাবহার হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোক প্রতিরোধ করতে পারে।

অধিকাংশ ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে এবং মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে থাকে মানুষ। সেক্ষেত্রে অ্যাসপিরিন রক্তকে পাতলা করে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে বলে জানিয়েছেন নতুন এ গবেষক দল।

যুক্তরাজ্যে ৫৩৭জন মানুষের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়। যাদের অর্ধেক বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন ওষুধ সেবন করে আসছিলেন। আর বাকি  অর্ধেক মানুষ ওষুধ সেবন বন্ধ করেন। পাঁচ বছর ধরে তাদের ওপর গবেষণা করে দেখা যায় এ ওষুধ সেবনকারী ২৩ জনের নিয়মিত সেবনকারী ১২জন বাকিদের চেয়ে বেশি নিরাপদ ছিলেন। 

ইউরোপিয়ান স্ট্রোক অর্গানাইজেশন ইতালির মিলানে এক সম্মেলনে এ  গবেষণাটি প্রকাশ করে। এতে গবেষকরা মত দেন, অ্যাসপিরিন মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ জনিত স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের নতুন করে স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করে না। তবে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। তবে অ্যাসপিরিন সবসময় সেবন করা নিরাপদ নয়।

উল্লেখ্য, মস্তিষ্কের কোনো অংশে রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়ে আক্রান্ত অংশের কোষ নষ্ট হওয়াকে স্ট্রোক বা ব্রেন স্ট্রোক বলে আখ্যায়িত করা হয়। বর্তমান বিশ্বে স্ট্রোক মানুষের মৃত্যুর চতুর্থ কারণ হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে।