বিএনপি-জামায়াতের তুলনায় কিছুই করছি না

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন যারা সংসদে বিরোধী দলে আছে তারা যেমন বিএনপি-জামায়াত দ্বারা নির্যাতিত-নিগৃহীত, আমরা যারা এখানে আমরাও তাদের দ্বারা নির্যাতিত নিগৃহীত হয়েছি। সেই তুলনায় আমরা তো তাদের কিছুই করছি না।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় সংসদ নেতা এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাচ্ছি দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমাদের চলার পথ কি খুব মসৃণ ছিল? মসৃণ ছিল না। সেখানে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা, বিআরটিসি বাসে আগুন, রেলে আগুন, লঞ্চ পুড়িয়ে নষ্ট করা। কত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে, তারা এখনও মানবেত জীবন যাপন করছে। এই সংসদে একজন এমপি আছেন, যাকে রাজবাড়ী থেকে দিয়েছি। তার মুখের দিকে তাকালে দেখবেন সম্পূর্ণ মুখে পোড়া দাগ।

সংসদ নেতা বলেন, বাংলাদেশে প্রতিটি ঘরে মানুষ নিজ নিজ অধিকার নিয়ে সুন্দরভাবে বসবাস করছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী তথা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রচেষ্টায় প্রতিটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান এত সুন্দরভাবে হচ্ছে, পুলিশ বাহিনী নিজেদের জীবন বাজি রেখে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। অথচ এই পুলিশের ২৬ জন সদস্যকে বিএনপি-জামায়াত পুড়িয়ে মেরেছে। ৫০০ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেক অনুষ্ঠান যেন সুন্দরভাবে হয় সেই ব্যবস্থা পুলিশ নিচ্ছে। আমরা সেই ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করে যাচ্ছি। এবার পুলিশ বাহিনীতে দুর্নীতিমুক্ত লোক নিয়োগ করায় সাধুবাদ পাচ্ছে। যা অতীতে হয়নি। প্রত্যেকে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বলেই অর্থনীতির উন্নয়ন হচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, এগিয়ে নিয়ে যাব। একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে। বর্তমান বিরোধী দল সবসময় গঠনমূলক পদক্ষেপ নেয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার জন্য রাজনৈতিকভাবে গণতন্ত্রের চর্চাটা অবাধ করে দিয়েছি। সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের জন্য আমরা কাজ করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের অর্থে বাজেট দিতে পারি। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সুফল গ্রামের মানুষ পাচ্ছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে।