সার-বীজ বিতরণে ছোটখাটো ‍দুর্নীতি হতে পারে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারণে সারা দেশে সার-বীজ বিতরণে ছোটখাটো দুর্নীতি হতে পারে বলে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্থ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তরকালে সরকারি দলের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

সার-বীজ বিতরণে বিএনপি আমলের তথ্য তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শাসন আমলে সার নিয়ে চাষিদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেই সময় ৭২ টাকার টিএসপি সার বিক্রি হতো ১০০ টাকায়। ৭০ টাকার পটাসিয়াম বিক্রি হতো অনেক দামে। সারের জন্য কৃষকদের জীবন দিতে হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আগের মেয়াদে অর্থাৎ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম এজেন্ডাই নেন সারের দাম কমানোর। তখন ৭২ টাকার টিএসপি সার ২২ টাকা করা হয়েছিল, ৯০ টাকার ডিএসপি সার ২৫ টাকা এবং ৬০ টাকার পটাসিয়াম ১৫ টাকা করা হয়েছিল। এরপর আর এক পয়সাও সারের দাম বাড়েনি।

ড. রাজ্জাক বলেন, এখন আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছালা নিয়ে চাষিদের দাঁড়াতে হয় না। ইউএনও অফিস, চেয়ারম্যানের অফিস, মেম্বারদের বাসা, ডিলারদের কাছে দৌঁড়াতে হয় না। বিতরণের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চাষিরা যাতে ন্যায্যমূল্যে ভালো সার পায় সে জন্য ডিলারদের মাধ্যমে দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নকারী অনিয়মের কথা বলেছেন, আমি সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছি না। কিন্তু এটুকু বলতে পারি শুধু আমাদের কারণে না। এখন চাষিরা অনেক বেশি সচেতন, লেখাপড়া জানে না, পুঁথিগত বিদ্যাও নাই কিন্তু সারের মান, বীজের মান নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। আগে সরকার থেকে দুই ভাগ তিন ভাগ বীজ দেওয়া হতো এখন বিএডিসির মাধ্যমে ২৫ ভাগ বীজ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী প্রতারণা করেন। তবে প্রতারণার করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। কমেছে বলেই এ বছর বিঘাতে ২০-৩০ মণ ধান হয়েছে। ধানের উদ্বৃত্ত ফলন হয়েছে। আমাদের সুব্যবস্থার জন্যই বীজ সার এবং অন্যান্য উপকরণের ফলে উৎপাদন বেড়েছে। গত বছর আমাদের আমাদের টার্গেট ছিল ১ কোটি ৪০ লাখ টন ধান, উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৫২ লাখ টন। এবার আমাদের টার্গেট ছিল ১ কোটি ৯৮ লাখ টন, উৎপাদন হয়েছে ২ কোটির অনেক বেশি। আলুর চাহিদা ৬০-৭০ লাখ টন, সেটির উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ টন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ছোটখাটো অনিয়ম বা দুর্নীতি হতে পারে। ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার লোভে করতে পারে। তবে সারাদেশে স্বাভাবিক সার বীজের বিতরণ হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ফসল উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন সারা পৃথিবীতে বিস্ময়।