‘মাথাপিছু আয়ের সঙ্গে বর্জ্যও বাড়ছে’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা, জাতীয় সংসদ ভবন থেকে
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

সংসদ অধিবেশন ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম

সারাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ বলে জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়ছে, গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়ছে, মাথাপিছু বর্জ্যও বাড়ছে। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা কঠিন একটি চ্যালেঞ্জ।

বুধবার (২৬ জুন) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

তাজুল ইসলাম বলেন, আগামীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমাদের পার ক্যাপিটা ইনকাম বাড়ছে, পার ক্যাপিটা কনজামশন বাড়ছে, পার ক্যাপিটা ওয়েস্টও বাড়ছে। এই বর্জ্য নিঃসরণ করার জন্য আমি এবং আমার দল কাজ করছি।

জলাবদ্ধতা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই সিটি কর্পোরেশনগুলো ড্রেন পরিষ্কার করায় এবার জলাবদ্ধতা দেখা দেয়নি।

রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন সময় উত্থাপিত অভিযোগ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের অধিকাংশ রাস্তাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ রাস্তাগুলো সনাতনীভাবে কম টাকায়, কম বরাদ্দে নির্মিত। আমরা বুয়েটকে দিয়ে একটা ডিজাইন করছি। আর কয়েক দিন বাদেই নতুন অর্থবছর থেকে সেই নকশা অনুযায়ী কাজ করব। কাজেই সেই সমস্যা আর থাকবে না।

তিনি বলেন, আমরা একটা সফটওয়্যার নির্মাণ নিয়ে কাজ করছি। ওই সফটওয়্যার সম্পন্ন হলে আমরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অটোমোবাইল প্রসেসের মাধ্যমে জানতে পারব কোথায় কোন রাস্তা দ্রুত সংস্কার করা লাগবে। সেই অনুযায়ী প্রকৌশলীরাও অফিসে বসেই কাজ করতে পারবেন।

মন্ত্রী বলেন, শুধু ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন করলেই হবে তা না। দেশে নির্মাণ শ্রমিক আছে, কিন্তু প্রশিক্ষিত শ্রমিক নাই। তাই ভারতের লার্জ অ্যান্ড টার্বোর সাথে আলোচনা করেছি। তাদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সাথে এমওইউ করার চেস্টা করছি। এমওইউ করতে পারলে গুণগত মানসম্পন্ন শ্রমিক তৈরি করতে পারব। সেখান থেকে প্রতি ৩ মাসে একটি করে ব্যাচ বের হবে। আমাদের ঠিকাদারদেরও প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

ঘাটতি বাজেট প্রসঙ্গে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলেন ঘাটতি বাজেট না হলে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করা যায় না। দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রতি বছরই ঘাটতি বাজেট দেওয়া হয়। তাতে করে বাজেট বাস্তবায়নে কোন অর্থের সংকট হয় না। এটা সঠিক। এই সঠিকতা গত ১০ বছর বার বার প্রমাণ করেছে।