বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড

শুধু খুনিরা নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদেরও বিচার হবে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিআইডি

সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিআইডি

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামি জেল হত্যা মামলারও আসামি। জেল হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় ঘোষণা এবং আপিলসহ বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় ওই মামলার রায় অনুযায়ী পাঁচ খুনির দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে।

ওই পাঁচ আসামির মধ্যে চারজন জেল হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। যেসব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা জানান। এর আগে সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।

প্রধানমন্ত্রী জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ঘৃণ্য কাজে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতরাই নয়, সহায়তাকারী ও ষড়যন্ত্রকারীদেরও খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ চতুর্থবার সরকার গঠন করার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে অনেক তথ্য প্রকাশ পায়। এ সব তথ্য হতে দেখা যায়, পরোক্ষভাবে দেশি-বিদেশি কিছু লোক ও সংস্থা বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। তাই এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে অন্যান্য পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করার জন্য একটি কমিশন গঠনের বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে বা আশ্রয় গ্রহণ করে আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটিতে বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। এখনও যে সব খুনি বিভিন্ন দেশে পালিয়ে এবং আশ্রয় গ্রহণ করে আছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন।

সরকারপ্রধান জানান, পলাতক আসামি নূর চৌধুরী কীভাবে কানাডায় বসবাস করছে, সে সম্পর্কে তথ্য দিতে কানাডা সরকারকে বাধ্য করতে ফেডারেল কোর্ট অব জাস্টিসের আদালতে আবেদন করা হয়েছে। গত ২৫ মার্চ এ বিষয়ে আদালতে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে। শুনানি শেষে বিষয়টি আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে। পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে আমেরিকা থেকে ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। মার্কিন বিচার বিভাগের দ্বারস্থ হতে আইনগত বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সেখানে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স কাজ করছে। পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।