`নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হয়েছে’

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাশেদ খান মেনন/ ছবি: সংগৃহীত

রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন রাশেদ খান মেনন/ ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রাক্কালে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও নেতাকর্মীদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন।

তিনি বলেছেন, ‘সম্প্রতি নির্বাচন সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে, ভোট দেওয়ার ব্যাপারে তারা অনাগ্রহী হয়ে পড়েছে। এই ধারণার অবসান ঘটাতে উপজেলা নির্বাচনকে অবশ্যই অবাধ, নিরপেক্ষ করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩ মার্চ) বিকালে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ সম্পর্কিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ থাকে। কিন্তু সংসদ সদস্যসহ দলীয় নেতারা হুমকি দিয়ে বলছেন, ভোট তো দেখছ, তোমরা ভোট দিয়ে কী করবে।’

‘এ ধরণের হুমকি-ধামকিতে নির্বাচন সম্পর্কে জনগণের অনাস্থা জন্ম হয়। ইতোমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধা দান, মনোনয়নপত্র ছিড়ে ফেলা, উর্ধ্বমহলের ক্লিয়ারেন্স আছে কিনা- প্রশাসনিক কর্তা-ব্যক্তিদের এ ধরণের ঔদ্ধত্যমূলক প্রশ্ন, সন্ত্রাস, টাকা ছড়ানোর উদ্বেগজনক খবর আসছে।’

তিনি বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদের সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞতাটি সব ক্ষেত্রে সুখকর নয়। বিএনপি-জামাত নির্বাচনে আসলেও নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশলই প্রয়োগ করেছে নির্বাচনে। তারেক রহমানের নির্বাচন বাণিজ্যের কারণে তারা নির্বাচনে কার্যকর প্রার্থী দেয়নি। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেয়নি। কেন্দ্র পাহাড়া দূরের কথা, পোলিং এজেন্টও দেয়নি।’

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দল অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের যে আন্দোলন করে আমরা যে সফলতা অর্জন করেছিলাম, তা যেন এভাবে হারিয়ে না যায় সে ব্যাপারে সর্তক হতে হবে। না হলে রাজনৈতিক দল নির্বাচন কেবল নয়, রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলবে। নির্বাচনকে তার যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘তেঁতুল হুজরের দল প্রধানমন্ত্রীকে কওমি জননী উপাধি দিয়েছেন। তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু আমরা বিষবৃক্ষ রোপন করছি কি-না সে ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির সুফল জনগণ পাচ্ছে কি-না সেটা গবেষণা করার প্রয়োজন পড়ে না। খালি চোখেই দেখা যায়, প্রবৃদ্ধির এই সুবিধা অসমভাবে বণ্টন হচ্ছে। দেশের ধনী দরিদ্র, গ্রাম শহরের মধ্যে বৈষম্য ক্রমেই বেড়ে চলেছে।’